আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন বিশেষজ্ঞসহ অংশীজনদের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপের অংশ হিসেবে আজ দ্বিতীয় দিনের মতো গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সাথে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বৈঠক করেন।
সংলাপে বার বার আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোকে আস্থায় নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সম্পাদক ও বার্তা প্রধানরা। কিন্তু প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার উদ্যোগ নেওয়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাজ নয়। ইসি এ উদ্যোগ নেবেও না।
বৈঠকে সাংবাদিকরা আরও্র প্রস্তাব দিয়েছেন- ৩শ’ আসনে একই দিনে না নিয়ে, একাধিক দিনে ভোটগ্রহণের। সীমানা পুনর্নিধারণে প্রশাসনিক অখণ্ডতা বজায় রাখায় সচেষ্ট থাকা, ‘না’ ভোটের বিধান চালু, সব ভোট কেন্দ্রে ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি করার। এক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক মিডিয়াও সহায়তা করবে বলে জানানো হয় প্রস্তাবনায়।
সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এই সংলাপে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে সংলাপে ছিলেন চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব ও সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। গতকাল বুধবার প্রথম দিনে প্রিন্ট মিডিয়ার প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করে কমিশন। আজকের সংলাপে ইলেকট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমের ৩৪ প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানায় ইসি। এর মধ্যে বেশিরভাগই অংশ নিয়েছেন।
আলোচনায় সিইসি বলেন, নির্বাচনে সেনা মোতায়েন একান্তই ইসির সিদ্ধান্ত বলেও উল্লেখ করেন সিইসি। সুশিল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে শুরু সংলাপের পরবর্তী পর্বে, ২৪ আগস্ট থেকে, রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বসবে ইসি।
সংলাপে কমিশন প্রণীত নির্বাচনী কর্মপরিকল্পনা বা রোডম্যাপ চুড়ান্ত করতে রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের মতামত নেয়া হচ্ছে।
/কিউএস
Leave a reply