সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের স্বার্থ সংরক্ষণে সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
শনিবার রাজধানী ঢাকায় জন্মাষ্টমী উপলক্ষে ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ প্রস্তাব দেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে শ্রীকৃষ্ণ সেবা সংঘ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
জিএম কাদের বলেন, দেশে সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় বা সংখ্যালঘু কমিশন থাকতে পারে। এতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো সংরক্ষণ হবে, তারা এগিয়ে যেতে পারবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি সব সময় সংখ্যালঘুদের পাশে ছিল। আগামী দিনগুলোতেও আমরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশে থাকব। তাদের যৌক্তিক সব দাবিতে সংসদে ও রাজপথে ভূমিকা রাখবে জাতীয় পার্টি।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আরও বলেন, পৃথিবীর সব ধর্মই শান্তি ও সম্প্রীতির কথা বলেছে। সব ধর্মের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য একই। সব ধর্মই ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে। তাই এক ধর্মের সঙ্গে অন্য ধর্মের কোনো বিভেদ থাকতে পারে না।
জিএম কাদের বলেন, মাত্র পাঁচ শতাংশ মানুষ ধর্মকে পুঁজি করে ব্যক্তিগত স্বার্থে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়। তাদের এ দেশের মানুষ কখনোই গ্রহণ করেননি।
‘বাংলাদেশের বড় দলগুলোও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করে। বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য অটুট থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সাবেক সফল রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জন্মাষ্টমীর দিনকে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছিলেন এবং হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছেন। হিন্দুসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের স্বার্থ রক্ষায় এরশাদ সব সময় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন।
‘পল্লীবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে জাতীয় পার্টি সব সময় সংখ্যালঘুদের পাশে থাকবে।’
শ্রীকৃষ্ণ সেবা সংঘের আহ্বায়ক নকুল চন্দ্র শাহার সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব সুজন দের পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, সংখ্যালঘু বিষয়ক উপদেষ্টা সোমনাথ দে, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তাপস পাল, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ- খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ ঢাকা মহানগরের সভাপতি চিত্ত রঞ্জন দাস, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ৬৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আকাশ কুমার ভৌমিক ও অধ্যাপক এস এম রায় সমর।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আলমগীর সিকদার লোটন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফকরুল আহসান শাহজাদা, যুগ্ম দফতর সম্পাদক এম এ রাজ্জাক খান, কেন্দ্রীয় নেতা মাহমুদ আলম, আবু তৈয়ব, হাজি সিরাজ, মমতাজ, নুরুল হক নুরু, যুব নেতা মো. কামাল হোসেন প্রমুখ।
Leave a reply