ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া ৪৫ জনের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেছে যাচাই-বাছাই কমিটি।
মঙ্গলবার বিকালে এ কমিটির প্রধান ফজলুল হক মিলনের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বৈধ প্রার্থীদের নাম জানানো হয়। এর মধ্যে সভাপতি পদে ১৫ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন ৩০ জন প্রার্থী।
মোট ৭৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৭ জনের বিরুদ্ধে বিবাহিতসহ আরও কয়েকটি অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাদের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। বাকিরা তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নির্বাচন পরিচালনা কমিটির এক সদস্য বলেন, প্রার্থিতা বাতিল হওয়া বেশিরভাগ প্রার্থীই বিবাহিত বলে প্রমাণিত হয়েছে। তবে তাদের নাম আমরা প্রকাশ করব না। কারণ সামাজিক মর্যাদা সবারই আছে। তাছাড়া তারা আপিল কমিটিতে আপিল করতে পারবেন। সেখানেই তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা পাঁচদিন ধরে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় যাচাই-বাছাই করেছি। বিবাহিত কিনা- তা জানার জন্য স্থানীয় নেতাদের সহযোগিতা নিয়েছি। জেলা বিএনপি, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের শীর্ষ নেতারা স্থানীয় নেতাদের নিয়ে প্রার্থীর বাসায় পর্যন্ত গিয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে আমাদের প্রতিবেদন দিয়েছেন। এ ছাড়াও আমরা নিজ উদ্যোগে কাজী অফিসে গিয়েছি। সবকিছু মিলিয়ে বিবাহিতসহ আরও কয়েকটি অভিযোগে সভাপতি পদে ১৩ জনের ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১৪ জনের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে।
গত ১৭ ও ১৮ আগস্ট ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনে অংশ নিতে ১০৮ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। পরে নির্বাচনে অংশ নিতে ৭৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে সভাপতি পদে ২৭ জন আর সাধারণ সম্পাদক পদে ৪৮ জন ছিলেন।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৩১ আগস্ট। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হবে ২ সেপ্টেম্বর। প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ সেপ্টেম্বর মধ্য রাত পর্যন্ত। ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। ভোটে অংশ নেবেন সংগঠনটির সারা দেশের ১১৭টি ইউনিটের ৫৮০ জন কাউন্সিলর।
ছাত্রদলের নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য সংগঠনের সাবেক নেতা খায়রুল কবির খোকনের নেতৃত্বে সাত সদস্যের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি, ফজলুল হক মিলনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বাছাই কমিটি এবং শামসুজ্জামান দুদুর নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল কমিটি গঠন করা হয়।
সভাপতি পদে বৈধ প্রার্থী যারা: কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, মামুন খান, আশরাফুল আলম ফকির, হাফিজুর রহমান, এসএম সাজিদ হাসান বাবু, ফজলুর রহমান খোকন, আবদুল মাজেদ, মাহমুদুল হাসান বাপ্পি, রিয়াদ মো. তানভীর রেজা রুবেল, এরশাদ খান, সুরুজ মণ্ডল, শামীম হোসেন, সুলাইমান হোসেন, মো. ইলিয়াস, এবিএম মাহমুদ আলম সরদার।
সাধারণ সম্পাদক পদে বৈধ প্রার্থীরা যারা: জুয়েল হাওলাদার (সাইফ মাহমুদ জুয়েল), আমিনুর রহমান আমিন, মো. হাসান (তানজিল হাসান), শেখ আবু তাহের, জাকিরুল ইসলাম জাকির, মোহাম্মদ কারিমুল হাই (নাঈম), মাজেদুল ইসলাম, আলাউদ্দিন খান, ডালিয়া রহান, মিজানুর রহমান সজীব, নাজমুল হক হাবীব, ওমর ফারুক শাকিল চৌধুরী, শাহ নেওয়াজ, মহিনউদ্দিন রাজু, মুন্সি আনিসুর রহমান, ইকবাল হোসেন শ্যামল, মিজানুর রহমান শরীফ, রাশেদ ইকবাল খান, আরিফুল হক, নিয়াদ মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন, আজিজুল হক সোহেল, শেখ মো. মশিউর রহমান রনি, আব্দুল মোমেন মিয়া, রাকিবুল ইসলাম রাকিব, মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ আবুল বাশার, আসাদুজ্জামান রিংকু, সোহেল রানা, কাজী মাজহারুল ইসলাম ও এ এ এম ইয়াহইয়া।
Leave a reply