উজানের ঢল আর বৃষ্টিতে উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। কিছু এলাকায় পানি ধীরে নামতে শুরু করলেও দুর্ভোগ কমেনি বানভাসি মানুষের। তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় পানি এখনও উদ্বেগজনক অবস্থানে রয়েছে।
কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, গাইবান্ধায় পানিবন্দি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে উঁচু সড়ক আর বাঁধের ওপর। পদ্মা-যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় মধ্যাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
মাদারীপুর, শরীয়তপুর, টাঙ্গাইল আর জামালপুরে প্লাবিত হয়েছে নতুন নতুন এলাকা। ঢাকার দোহারে বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়েছে মাহমুদপুর ও বিলাসপুর ইউনিয়ন।
উপদ্রুত এলাকাগুলোতে ত্রাণ তৎপরতা চললেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে অভিযোগ দুর্গতদের। অনেকে ত্রাণ হিসেবে নিজের জন্য অল্প খাবার পেলেও গবাদি পশুরা অভুক্ত থাকছে। এতে উদ্বেগে দিন কাটছে কৃষকদের।
সিলেটে সুরমা-কুশিয়ারায় পানি কমেছে; তাই পুর্বাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে,
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সারা দেশে বিভিন্ন নদনদীর ২৯টি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার উপরে অবস্থান করছে।
সরকারি সূত্র বলছে, ২৬ জেলায় অন্তত ১৪ লাখ মানুষ বন্যা কবলিত। গত কয়েকদিনে পানিতে ডুবে, সাপের কামড়ে এবং বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৭ জনের।
/কিউএস
Leave a reply