যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েও দেশটিতে প্রবেশ করতে পারলেন না ফিলিস্তিনী এক তরুণ। মূলত সোশ্যাল মিডিয়ায় তার বন্ধু তালিকায় থাকা এক ব্যক্তির যুক্তরাষ্ট্র বিরোধী পোস্টের কারণে তার ভিসা বাতিল করা হয় বলে জানানো হয় দেশটির মার্কিন কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রটেকশন বিভাগের পক্ষ থেকে। খবর বিবিসি বাংলার।
ইসমাইল আজওয়াই নামে ফিলিস্তিনী ওই তরুণ স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে লেবানন থেকে হার্ভার্ডের উদ্দেশ্য পাড়ি দিয়েছিলেন। এসময় তাকে বিমানবন্দরে কয়েকঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা। কিন্তু এই ঘটনার পর তাকে লেবাননে ফিরে আসতে হয়।
আজওয়াই জানান, তার ফোন ও ল্যাপটপ তল্লাশি করার পর কর্মকর্তারা তার ভিসা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেন। কর্মকর্তারা তাকে জানায়, তার বন্ধুর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের কারণে তাকে প্রবেশ করতে দেয়া হবেনা, এসময় তিনি বন্ধুর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের জন্য তাকে দায়ী করা যেতে পারে না, তিনি এই যুক্তি দেয়ার পরও কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নেন যে তাকে যুক্তরাষ্ট্রে ‘ঢুকতে দেয়া যায় না’।
মার্কিন কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রটেকশন বিভাগের মুখপাত্র মাইকেল ম্যাকার্থি বলছেন, “সিবিপি তল্লাশিতে যেসব প্রমাণ পাওয়া গেছে” তার ভিত্তিতে ঐ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এ বিষয়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় বলছে, “এই সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ঐ ছাত্রের পরিবার এবং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে।”
উল্লেখ্য, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়ম অনুযায়ী সকল মার্কিন ভিসা প্রত্যাশীদের তাদের সোশ্যাল মিডিয়ার বিস্তারিত উল্লেখ করতে হবে। একইসাথে পাঁচ বছর আগে থেকে ব্যবহৃত হওয়া ফোন নাম্বার ও ই-মেইল এ্যাড্রেস জানাতে হবে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার গত বছর মার্চ মাসে এই নিয়মের কথা প্রস্তাব করে।
তবে কূটনীতিক এবং সরকারি কর্মকর্তাদের ভিসার ক্ষেত্রে এই নতুন নিয়ম কার্যকর হবে না।
Leave a reply