রোহিঙ্গা শিবিরে অপকর্মে লিপ্ত থাকায় তালিকা করে ৪১ এনজিওকে সব ধরনের কার্যক্রম থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে বলে শনিবার জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
তিনি জানান, ২০১৭ সালের আগস্টে রোহিঙ্গা সমস্যা সৃষ্টির পর ১৩৯টি এনজিও রোহিঙ্গা শিবিরে কার্যক্রম শুরু করেছিল।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা এলাকায় সিটি করপোরেশনের মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। এ সময় সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা এবং সিলেট জেলা ও আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও অনেক এনজিও অপকর্ম করছে জানিয়ে ড. মোমেন সতর্ক বলেন, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু বিভিন্ন দেশি ও বিদেশি এনজিও নানাভাবে তদবির করছে ব্যবস্থা না নেয়ার জন্য।
সরকারের এনজিও বিষয়ক ব্যুরো রোহিঙ্গা শিবিরে বিতরণের জন্য ধারালো নিড়ানি তৈরির অভিযোগে ‘মুক্তি কক্সবাজার’ নামে একটি এনজিও’র ছয়টি প্রকল্প সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে। বুধবার এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর এসাইনমেন্ট অফিসার সিরাজুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত এক আদেশে প্রকল্পগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ করতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সর্বশেষ রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে কূটনীতিকদের অবহিত করার পর সংবাদিকদের সাথে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা শিবিরে কাজ করা এনজিওগুলোর বিরুদ্ধে যদি শর্ত লঙ্ঘন করে কার্যক্রম পরিচালনার প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ড. মোমেন শুক্রবার সিলেটে জাতীয় শোক দিবসের এক সভা শেষে সাংবাদিকদের বলেন, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে না যেতে নানাভাবে ইন্ধন দেয়া এনজিও ও ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা হবে। ‘বিভিন্ন এনজিও ইন্ধন দিচ্ছে বলে আমাদের কাছে খবর আছে। বিষয়গুলো আমরা খতিয়ে দেখছি। যারা রোহিঙ্গাদের এসব কাজে সহযোগিতা করছে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে, শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।’
বাংলাদেশে বর্তমানে ১১ লাখের অধিক রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়ে আছেন। তাদের মধ্যে ৭ লাখ ৩০ হাজারের অধিক মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর বর্বর অভিযান থেকে জীবন বাঁচাতে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এ মুসলিম সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে চালানো অভিযানে ‘গণহত্যার অভিপ্রায়’ ছিল বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের তদন্ত কমিটি।
সূত্র: ইউএনবি
Leave a reply