গ্রামীণফোন ও রবি’র কার্যক্রম বন্ধ করতে চায় না নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। তবে নিরীক্ষা বাবদ পাওনা আদায়ে, প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠান দুটিতে প্রশাসক নিয়োগ করতে চায় সংস্থাটি।
দেশের দুই শীর্ষ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন এবং রবি’র বকেয়া রাজস্ব পরিশোধ নিয়ে জটিলতা বাড়ছে। পাওনা টাকা আদায়ের জন্য ব্যান্ডউইথ সীমিত করার পাশাপাশি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এনওসি প্রদান। পাওনাদি পরিশোধ না হলে, লাইসেন্স বাতিলের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হচ্ছে। তবে এর আগে ৩০ কর্মদিবস সময় বেধে দেয়া হবে। এর মধ্যে যদি পাওনা পরিশোধ না করে, সেক্ষেত্রে পরবর্তী কমিশন সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে বিটিআরসি।
গেল এপ্রিলে ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা বকেয়া দাবি করে গ্রামীণফোনকে এবং ৮৬৭ কোটি টাকা দাবি করে রবিকে নোটিশ পাঠায় বিটিআরসি। টাকা পরিশোধের জন্য অপারেটর দুটিকে দুই সপ্তাহ সময়ও দেওয়া হয়।
বিটিআরসি থেকে তখন বলা হয়— গ্রামীণফোন ও রবির সর্বশেষ অডিটের পরে এই ডিমান্ড লেটার পাঠানো হয়েছে। তবে অডিট রিপোর্টকে ত্রুটিপূর্ণ এবং রিপোর্ট সব পক্ষের মতামতের প্রতিফলন ঘটেনি-এমন দাবী মোবাইল ফোন অপারেটরের।
কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও, গ্রাহক সেবা অব্যাহত রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা নেবে, বিটিআরসি। পাওনা আদায়ে, প্রতিষ্ঠান দুটিতে নিয়োগ দেওয়া হবে প্রশাসক।
বিটিআরসি’র তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা সাড়ে ৭ কোটি। আর রবি’র সেবা নিচ্ছে ৪ কোটি ৮০ লাখ গ্রাহক।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পাওনা পরিশোধ না করায় গত ২২ মে বিটিআরসি ‘কমিশন বৈঠক’ (২২৭তম বৈঠক) করে সিদ্ধান্ত নেয়, অপারেটর দুটির বিরুদ্ধে অপারেশনাল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তখন অপারেটরগুলোর বিরুদ্ধে ৮টি অপারেশনাল ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। এই ৮টি ব্যবস্থার মধ্যে ছিল—দুই অপারেটরের পক্ষে অনাপত্তি পত্র জারি বন্ধ করে দেওয়া, এমএনপি পোর্ট ইন বন্ধ বা সীমিত করা, নতুন গ্রাহক নেওয়া বন্ধ বা সীমিত করে দেওয়া, ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে বা আইজিডব্লিউ প্রান্ত থেকে ব্যান্ডউইথ বন্ধ বা সীমিত করা, আইজিডব্লিউ প্রান্ত থেকে ইনকামিং বা আউটগোয়িং কল বন্ধ বা সীমিতকরণ, ইন্টার কানেকশন এক্সচেঞ্জের (আইসিএক্স) মাধ্যমে বন্ধ বা সীমিত করে দেওয়া, নেটওয়ার্ক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বা এনএমএসের মাধ্যমে সারাদেশ বা নির্দিষ্ট এলাকায় থ্রিজি ও ফোরজি নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেওয়া।
Leave a reply