বিদেশে জামাকাপড় রফতানির ব্যবসা ছিল বাবার, কিন্তু সেই ব্যবসা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেনি ছেলে। আর সেই কারণেই নিজের বিলাসবহুল জীবন কাটাতে ব্যর্থ হচ্ছিলেন ৩৭ বছরের রাজেশ কাপুর। বিলাসী জীবন-যাপনে যাতে ছেদ না পড়ে তার জন্যই এক অভিনব উপায় খুঁজে বের করেন । শুরু করেন বিমানের ভিতর এবং বিমানবন্দরে চুরি! বিষয়টি অবাক করা মনে হলেও এটাই সত্যি।
বিমানের ভেতর থেকে এবং বিমানবন্দরে চুরি করে সেই জিনিস বিক্রি করে দিয়ে সেই টাকায় নিজের শখ- আহ্লাদ পূরণ করত সেই গুণধর ছেলে। তার এই অপকর্মের জন্য় নিজের পরিচয় গোপন করে নকল নাম নিয়ে ভুয়া নথি বানিয়ে নিয়ে বিমানে চলাচল করত বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, তার কৃতকর্মের জন্য একাধিক বিমান সংস্থা তাকে কালো তালিকাভুক্ত করে দিয়েছিল বলেও জানা গিয়েছে।
পূর্ব দিল্লির লাজপত নগরের বাসিন্দা রাজেশ-কে এর আগে ২০০৭ সালে প্রথম গ্রেফতার করে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার আবারও চুরির অভিযোগে পুলিশের হাতে বন্দী হলো সে।
দিল্লি বিমান বন্দরের পুলিশ উপ- কমিশনার সঞ্জয় ভাটিয়া বলেন, এখনও পর্যন্ত ইন্ডিগো এবং ভিস্তারা দুটি এয়ারলাইন্সে চুরির ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে তাকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মোট ১১টি চুরির অভিযোগ রয়েছে। নাম ও পরিচয়পত্রের পাশাপাশি জাল আধার কার্ড ও পাসপোর্টও রয়েছে তার। এমনকি এর আগে দু’বছর সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে থাকার সময়েও একই ঘটনা সে ঘটিয়েছিল বলে জানা যায়।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।
Leave a reply