এবার রাজনীতির ময়দানে যুবরাজ সিং। বিজেপি’র টিকিটে ভোটের ময়দানে তিনি। উত্তরপ্রদেশের হামিরপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ইনি।
এ পর্যন্ত পড়ে অনেকেই ভাবতে পারেন এই যুবরাজ সিং ভারতের সাবেক ক্রিকেটার মনে হয়। না, বিষয়টা আসলে তেমন না। উত্তরপ্রদেশ বিজেপির এক নেতার নাম এক হওয়ায় এই বিভ্রম তৈরি হয়েছে। উপনির্রাচনের জন্য সংবাদমাধ্যমে বিজেপির ঘোষিত ৬ প্রার্থীর নাম প্রকাশ হওয়ার পর অনেকে ভুল বুঝেছেন। সামাজিক মাধ্যমেও এ নিয়ে অনেক পোস্ট এসেছে।
যুবরাজের বিজেপি ঘনিষ্ঠতার কথা সবাই আগে থেকেই জানেন। গত নির্বাচনের আগের বিজেপির হয়ে ক্যাম্পেইন করেছেন, দলীয় প্রধানের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। ফলে প্রার্থী তালিকায় অন্যজনের সাথে নামের মিল দেখে অনেকেই ভেবেছিলেন, এবার সরাসরি রাজনীতির মাঠে নামছেন তিনি। তবে বাস্তবে তা নয়।
সোমবার রাতের দিকে ভারতীয় জনতা পার্টির তরফে ঘোষণা করা হয়, হামিরপুরের ঠাকুর বংশের যুবরাজ সিং আগামী ২৩ সেপ্টেম্বরের উপনির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াবেন। এই আসনে ঠাকুর বংশের প্রার্থী দাঁড় করানোর পিছনে বিজেপির অন্য লক্ষ্য আছে বলে মনে করা হচ্ছে। অনুমান, হামিরপুরের উচ্চ বংশীয় রাজপুত ও ব্রাহ্মণদের ভোট টানতেই গেরুয়া শিবিরের এই পদক্ষেপ।
সোমবার দেশের ৪ রাজ্যের চারটি কেন্দ্রের বিধানসভা উপ নির্বাচনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। এছাড়া রাজ্যসভায় উত্তরপ্রদেশের দু’টি আসনের প্রার্থীদের নামও এক বিবৃতিতে ঘোষণা করেন দলের কার্যনির্বাহী সভাপতি জেপি নাড্ডা। উত্তরপ্রদেশের হামিরপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচনে প্রার্থী ছাড়াও ছত্তিশগড়ের দান্তেওয়াড়ায় ওজাসভি মান্দভি, কেরালার পালা কেন্দ্রে হরি এন এবং ত্রিপুরার বদরঘাট কেন্দ্রে মিমি মজুমদারকে প্রার্থী করেছে পদ্ম শিবির।
এছাড়া সমাজবাদী পার্টির দুই প্রাক্তন নেতা সুরেন্দ্র সিং নাগর এবং সঞ্জয় সেঠকে উত্তরপ্রদেশ থেকে রাজ্যসভার উপ-নির্বাচনে প্রার্থী করেছে অমিত শাহের দল। গত মাসে রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন এই দুই নেতা। ৩৭০ ধারা বিলোপের মোদী সরকারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে গৈরিক দলে নাম লেখান তাঁরা।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
Leave a reply