পুলিশের ছররা গুলিতে আহত এক ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় কাশ্মিরের শ্রীনগরে ফের কারফিউ জারি করা হয়েছে। বুধবার আসরার আহমেদ খান নামে ওই ছাত্র মৃত্যুবরণ করে। গত মাসে এক বিক্ষোভে পুলিশের ছোড়া ছররা গুলিতে সে আহত হয়েছিল।
আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় শ্রীনগরে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, এ খবর ছড়িয়ে পড়লে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হতে পারে। তবে গুলিতে কাশ্মিরি যুবকের মৃত্যুর বিষয়টি অস্বীকার করেছে পুলিশ।
৫ আগস্ট কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা সংক্রান্ত সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকেই উত্তপ্ত উপত্যকা। মোবাইল নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়। প্রায় দুই সপ্তাহ বন্ধ ছিল স্কুল, কলেজ, সরকারি দফতর। কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছিল, আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হবে পরিস্থিতি।
বেশকিছু জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা, ল্যান্ড লাইন ফোন চালু হচ্ছিল। কিন্তু ওই ছাত্রের মৃত্যুর পর পুরনো শ্রীনগরে আবারও বিধিনিষেধ আরোপ করেছে প্রশাসন।
৬ আগস্ট সৌরা এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে আসরার আহত হন। শহরের শের-ই-কাশ্মির ইন্সটিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্স হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। প্রায় এক মাস অসুস্থ থাকার পর বুধবার তিনি মারা যান।
কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও জানে না পুলিশ এবং তারা বুলেটের আঘাতে মৃত্যুর সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছে।
এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ছররা গুলিতে আহত হওয়ার কোনো চিহ্ন নেই। সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, পাথরের আঘাতে তিনি আহত হন। সেদিন ভিড়ের মধ্য থেকে ব্যাপক ইট-পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটেছিল।
Leave a reply