টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে থাইল্যান্ডকে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। এর আগের আসরেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ।
শনিবার থাইল্যান্ডকে ৭০ রানের ব্যবধানে হারায় সালমা খাতুনের নেতৃত্বাধীন দলটি। এই জয়ের ম্যাচে অপরাজিত ৭১ রান করে বড় ভূমিকা পালন করেন ওপেনার সানজিদা ইসলাম।
তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে হেরে গেলেও তেমন কোনো সমস্যা হবে না থাইল্যান্ডের। তারা আগেই বাংলাদেশের মতো ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বের খেলা নিশ্চিত করেছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগামী আসরে আটটি দল সরাসরি খেলার সুযোগ পাবে।
এবার গ্রুপপর্বের প্রথম ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রকে আট উইকেটে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল বাংলাদেশ। পরের দুটি ম্যাচে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ফল নির্ধারণ হয়েছে। সেখানে পাপুয়া নিউগিনিকে ছয় এবং স্বাগতিক স্কটল্যান্ডকে ১৩ রানে হারিয়েছেন বাংলাদেশের মেয়েরা।
শনিবার স্কটল্যান্ডের ডান্ডির ফর্টহিলে অনুষ্ঠিত বাছাই পর্বের ফাইনাল ম্যাচে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে সানজিদা ইসলামের ঝড়ো ফিফটিতে ৫ উইকেটে ১৩০ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭১ রান করেন সানজিদা। তার অপরাজিত ইনিংসটি ৬০ বলে ৬টি চার ও তিনটি ছক্কায় সাজানো।
থাইল্যান্ডের বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন দুই ওপেনার সানজিদা ইসলাম ও মুরশিদা খাতুন।
উদ্বোধনী জুটিতে ১০.১ ওভারে ৬৮ রান যোগ করেন তারা। ৩৪ বলে চারটি চারের সাহায্যে ৩৩ রান করে আউট হন মুরশিদা।
তবে শুরু থেকেই দুর্দান্ত ব্যাটিং করে যান অন্য ওপেনার সানজিদা ইসলাম। ৪৭ বলে ফিফটি তুলে নেন। তার অনবদ্য ফিফটিতে ভর করে ৫ উইকেটে ১৩০ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে নাহিদা আক্তারের অফ স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে মাত্র ৭ রানে দুই ওপেনারের উইকেট হারায় থাইল্যান্ড। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনের কারণে ৭ উইকেটে ৬০ রানে ইনিংস গুটায় থাইল্যান্ড।
৭০ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। দলের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেন নাহিদা আক্তার ও শায়লা শারমিন। এ ছাড়া একটি করে উইকেট নেন অধিনায়ক সালমা খাতুন ও খাদিজাতুল কোবরা।
Leave a reply