ক্রিকেটে গুরুত্বপূর্ণ দুই অংশীদার ক্রিকেটার ও বোর্ড। দু’পক্ষের সম্পর্কের মিথস্ক্রিয়ার প্রতিফলন দেখা যায় ২২ গজে। কিন্তু গত কয়েকদিনে বিসিবির কর্তাব্যক্তি ও ক্রিকেটারদের কথায় এটা স্পষ্ট দু’পক্ষের মধ্যে একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাজেভাবে ম্যাচ হারার পর সাকিব বলেছেন, ভবিষ্যতে অধিনায়কত্ব করতে হলে ম্যানেজমেন্টের সাথে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
ম্যাচের চতুর্থ দিন হঠাৎই সাংবাদিক সম্মেলনে আসেন সাকিব। কথার পিঠে কথার মাঝেই একপর্যায়ে সাকিব বলে উঠেন, টেস্টের মধ্যে বোর্ডকে টেনে আমাকে ঝামেলাই ফেলা কেনো? অধিনায়কের এমন কথা তো দু’পক্ষের মাঝে এক অদৃশ্য দেয়ালকেই ইঙ্গিত করে।
আফগানদের বিপক্ষে টেস্ট শুরুর আগের দিন বিপিএল নিয়ে আলোচনায় ক্রিকেটার প্রসঙ্গ নিয়ে আসেন বিসিবির পরিচালক শেখ সোহেল। ক্রিকেটের সুনাম ক্ষুণ্ন করে এমন কাউকে ছাড় না দেয়ার হুমকি তার। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের কথা যেন মনে হয় বোর্ড আর ক্রিকেটার পরস্পর বিপরীত দুই পক্ষ!
শুধু তাই নয়, চট্টগ্রাম টেস্টের উইকেট নিয়ে রীতিমতো মুখোমুখি দু’পক্ষই। সাকিবের দাবি যে রকম উইকেট চেয়েছেন সেটি পাননি। এটি নিয়ে হতাশা লুকিয়ে রাখতে পারেননি তিনি। আর বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন তো বলেই দিয়েছেন, আফগানদের বিপক্ষে স্পিন উইকেট কোনো? এ বুদ্ধি কার মাথা থেকে কীভাবে এসেছেন তিনি তা বুঝেন না! এর আগে, ক্রিকেটারদের টেস্ট খেলার সামর্থ নিয়েও প্রশ্ন তুলে রেখেছেন তিনি।
তাহলে উইকেট বানানো হলো কার পরামর্শে? আবার বোর্ড সভাপতি ও অধিনায়কের বক্তব্য একই সুরে গাঁথা- এমনটিও নয়।
এসবের মাঝেই হারের পর টেস্ট অধিনায়ক ইঙ্গিত দিয়ে গেলেন আরো বড় কিছুর। বলেছেন, লিড যদি না দিতে হয় সেটি আমার জন্যই ভালো। অন্তত ব্যক্তিগত ক্রিকেটের দিক থেকে। আর যদি লিড দিতে হয় তাহলে অবশ্যই অনেক কিছু আলোচনা করার আছে।
বিশ্বকাপ থেকেই বাজে পারফরমেন্সের বৃত্তে দল, বেরিয়ে আসছে নানা নেতিবাচক খবর। যার সবশেষ সংযোজন আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারের প্রতিক্রিয়া। উঠে আসা নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে এখন বিসিবি কি করে- তার মাঝেই হয়তো লুকিয়ে আছে আগামী দিনে ক্রিকেটে পথচলা কেমন হবে সেটি। অবশ্য, বোর্ড সভাপতি তো ৬ মাসের মধ্যে সব বদলে দেয়ার কথা বলেই রেখেছেন!
Leave a reply