ভৈরব প্রতিনিধি:
ভৈরবে গৃহকর্তীর অমানুষিক নির্যাতনে কাজের মেয়ে সাদিয়া বেগম (১৮) গুরুতর আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছে। তার পিতার নাম মরহুম জামাল মিয়া এবং বাড়ি ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার সিংগেরকান্দা গ্রামে।
ভৈরব বাজারের গিয়াস উদ্দিন মিয়ার কন্যা গৃহকর্তী মেহেরুন্নেছা অপি তুচ্ছ ঘটনায় তার পিঠে লাঠিপেটাসহ হাতে গরম পানি ঢেলে ছ্যাকা দিয়েছে বলে তার অভিযোগ। গৃহকর্তীর স্বামীর নাম সাদলী।
এদিকে রাত সাড়ে ১২ টার দিকে গৃহকর্তা সাদলী ও তার স্ত্রী অপি গ্রেফতার করে পুলিশ।
জানা যায়, আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় আহত সাদিয়ার খালা ভৈরব পৌর প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ আল-আমিনের সহায়তায় ও পরামর্শে ভৈরব উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে।
চিকিৎসকরা জানান, তার শরীরে অনেক আঘাত রয়েছে। খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে তার নির্যাতনের বর্ণনা শুনেছে।
জানা গেছে, সাত বছর আগে সাদিয়া বেগম তার দুঃসর্ম্পকের এক খালার মাধ্যমে ভৈরব বাজারের গৃহকর্তী মেহেরুন্নেছা অপির বাসায় কাজের মেয়ে হিসেবে কাজ পায়। সে জানায় প্রথম দিকে তাকে কাজের জন্য কোন নির্যাতন করা হতনা। কয়েক বছর যাওয়ার পর কাজ করতে গিয়ে তুচ্ছ ঘটনায় যখন তখন তাকে মারধরসহ প্রায়ই তার হাতে গরম পানি ঢেলে ছ্যাকা দিত। অনেক সময় তার হাত পা বেঁধে মারধর করত। তাকে বাসার বাইরেসহ বাড়িতে যেত দিতনা। গৃহকর্তী বাসার বাইরে গেলে তাকে তালাবন্ধ করে ঘরে রেখে যেত।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় কাজের সময় একটি চুড়ি ভেংগে গেলে তাকে লাঠি দিয়ে পেটানোসহ গরম পানি ঢেলে হাতে ছ্যাকা দেয়া হয় বলে তার অভিযোগ। এরপর রাতে গোপনে সে বাসা থেকে পালিয়ে খালার ভাড়া বাসায় আশ্রয় নেয়।
ভৈরব থানার উপ-পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন জানান, খবর পেয়ে আমি হাসপাতালে গিয়ে সাদিয়ার শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন দেখতে পাই। থানার অফিসার ইনচার্জের সাথে কথা বলে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্হা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তার মোঃ ফেরদৌস জানান, তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আঘাতগুলি গুরুত্বর বলে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।
Leave a reply