আফগানিস্তানের বিপক্ষে মুশফিকুর রহিমকে ওপেনিংয়ে ব্যাটিংয়ে নামিয়ে চমক দিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নেমে প্রত্যাশিত ব্যাটিং করতে পারেননি জাতীয় দলের নির্ভর যোগ্য এ ব্যাটসম্যান। ফরিদ আহমেদের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন বাংলাদেশ দলের এ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।
এর আগে ওয়ানডে ক্রিকেটে একবার ওপেনিংয়ে ব্যাটিং করতে নেমে ৯৮ রান করেছিলেন মুশফিকুর রহিম।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১৬৫ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার লিটন কুমার দাস। দলীয় ১১ রানে ফেরেন মুশফিক।
১.৫ ওভারে দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়া দলকে খেলায় ফেরানোর আগেই সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আগের ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আগের ম্যাচে ১ রান করা সাকিব আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১৫ রানের বেশি করতে পারেননি। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৮ রান সংগ্রহ করেছে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে রীতিমতো ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়েছেন মোহাম্মদ নবী। তার ব্যাটিং ঝড়ে ৬ উইকেটে ১৬৪ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েছে আফগানিস্তান।
পাওয়ার প্লেতে ৬ ওভারে ৪১ রানে ৪ উইকেটে হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়া আফগানিস্তান, প্রথম ১০ ওভারে সংগ্রহ করে ৬০/৪ রান।
এরপর আসগর আফগানের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ৭৯ রানের জুটি গড়েন মোহাম্মদ নবী। তাদের এই জুটিতেই বড় সংগ্রহের পুঁজি পায় আফগানরা। নবীর অনবদ্য ব্যাটিংয়ে শেষ ১০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১০৪ রান তুলতে সক্ষম হয় আফগানিস্তান।
টাইগার বোলারদের তুলোধুনে করে ৫৪ বলে ৭টি ছক্কা ও তিনটি চারের সাহায্যে অপরাজিত ৮৪ রান করেন নবী।
রোববার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে যায় আফগানরা।
আফগান শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তার দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে ভেঙে যায় রহমানউল্লাহ গুরবাজের স্টাম্প। ইনিংসের প্রথম বলেই গোল্ডেন ডাকে সাজঘরে ফেরেন আফগান এ ওপেনার। সাইফউদ্দিনের বলে গুরবাজের অফ স্টাম্প ভেঙে যায়।
এরপর দ্বিতীয় ওভারে সাকিব আল হাসানের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন অন্য ওপেনার হযরতউল্লাহ জাজাই। নিজের দ্বিতীয় এবং ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ফের বোলিংয়ে এসে নাজিব তারাকির উইকেট তুলে নেন সাইফউদ্দিন।
আগের ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়েছিলেন নজিবুল্লাহ জাদরান। শনিবার ৩০ বলে অপরাজিত ৬৯ রান করা আফগান এ তারকা ব্যাটসম্যানকে খোলস থেকে বের হওয়ার আগেই সৌম্য সরকারের ক্যাচে পরিণত করেন সাকিব। সাজঘরে ফেরার আগে ৭ বলে মাত্র ৫ রান করার সুযোগ পান নজিবুল্লাহ।
৪০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়া দলকে খেলায় ফেরাতে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেন মোহাম্মদ নবী ও আসগর আফগান। পঞ্চম উইকেটে তারা ৬৩ বল খেলে ৭৯ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ১১৯ রানে ৩৭ বলে ৪০ রান করে সাইফউদ্দিনের তৃতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন আসগর আফগান। অবশ্য তার ৩২ রানেই সাজঘরে ফেরার কথা ছিল। তাইজুলের বলে ক্যাচ তুলে দিয়েও নো বলের কল্যাণে নতুন লাইফ পান আসগর।
এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি গুলবাদিন নাইব। সাইফউদ্দিনের চতুর্থ শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন বিশ্বকাপে আফগানিস্তানকে নেতৃত্ব দেয়া সদ্য সাবেক হওয়া এ অধিনায়ক।
তবে ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে যান মোহাম্মদ নবী। ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত খেলে দলকে ১৬৪ রানের সম্মানজনক স্কোর উপহার দেন আফগানিস্তানের সাবেক এ অধিনায়ক। বাংলাদেশ দলের হয়ে ৪ ওভারে ৩৩ রানে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন সাইফউদ্দিন।
Leave a reply