প্রধান কোচ ও নির্বাচক হয়েই পাকিস্তান ক্রিকেটারদের লাইফস্টাইলে পরিবর্তন আনার মিশনে নেমেছেন মিসবাহ-উল-হক। প্রথম দফায় তাদের খাদ্যাভ্যাসে হস্তক্ষেপ করেছেন তিনি। স্কিলের আগে ফিটনেস-এ মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে খেলোয়াড়দের খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন এনেছেন পাকিস্তান দলের সাবেক এই অধিনায়ক।
চলতি ঘরোয়া লিগ কায়েদ-ই-আজমের দলে এবং জাতীয় ক্যাম্পে থাকা খেলোয়াড়দের জন্য বিরিয়ানি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করেছেন মিসবাহ। পাশাপাশি তারা কী কী খেতে পারবেন, সেই নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি।
লিগের ম্যাচে ও লাহোরে জাতীয় ক্যাম্পের ক্রিকেটারদের খাদ্যতালিকায় কম তেলযুক্ত খাবার অন্তর্ভুক্ত করেছেন মিসবাহ। সেই সঙ্গে খেলোয়াড়দের ডায়েটের জন্য আলাদা মেন্যু নির্ধারণ করে দিয়েছেন ‘মিস্টার টুকটুক’।
কায়েদ-ই-আজম ট্রফিতে খেলোয়াড়দের জন্য মুরগী জাতীয় সব খাবারের সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি। এর বদলে মসুর ডাল, চাল, বারবিকিউ, পাস্তাজাতীয় খাবার খেতে বলেছেন নতুন কোচ। একইসঙ্গে খেলোয়ারদের জন্য প্রচুর পরিমাণে ফল সরবরাহ করতে ক্রিকেট বোর্ডকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
খেলোয়াড়দের ফিটনেস ঠিক রাখতে প্রতিদিন গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে কসরত করাচ্ছেন মিসবাহ। তাকে এ কাজে সহায়তা করছেন ফিল্ডিং কোচ গ্র্যান্ট ব্র্যাডবার্ন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আসন্ন মৌসুম শুরুর আগে চলমান ঘরোয়া ক্রিকেটে বিশেষ নজর দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। সিডনি থেকে লাহোর পৌঁছেই মাঠের প্রান্তে দাঁড়িয়ে বোলারদের পরামর্শ দিতে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে নতুন বোলিং কোচ ওয়াকার ইউনিসকে।
শ্রীলংকার বিপক্ষে সিরিজের জন্য আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ট্রেনিং ক্যাম্প শুরু করবে পাকিস্তান। ইতিমধ্যে ২০ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে পিসিবি।
দলের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদসহ ছয় ক্রিকেটারকে ক্যাম্পের বদলে নিজেদের ফিটনেস নিয়ে কাজ করতে বলেছেন মিসবাহ। এছাড়া কায়েদ-ই- আজমের দলগুলোর কোচদেরও ফিটনেস বিষয়ক নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
Leave a reply