ক্যাসিনো মালিক ও এর সঙ্গে জড়িতরা যত প্রভাবশালীই হোক না কেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, রাজধানীতে জুয়ার আসর বসতে দেয়া হবে না।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় নিজ কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানীতে অবৈধ জুয়ার আড্ডা, ক্যাসিনো চলতে দেয়া হবে না। এসব জুয়ার বোর্ড, ক্যাসিনোর সঙ্গে যত প্রভাবশালীই জড়িত থাকুক না কেন, আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে পুলিশ কঠোর হবে। পুলিশ কিংবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ যদি ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত থাকে, তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ক্যাসিনোতে র্যাবের পাশাপাশি পুলিশও অভিযান চালাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এরই মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার জুয়ার বোর্ড ও ক্যাসিনোর তালিকা করা শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বুধবার ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত থাকায় গুলশানের বাসা থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করে র্যাব। অবৈধ অস্ত্র, গুলি, মাদকসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। একই সময়ে ফকিরাপুলের ইয়ংমেন্স ক্লাবের নিষিদ্ধ ক্যাসিনোতেও অভিযান চালায় র্যাব। সেখান থেকে দুই নারীসহ ১৪২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। মদ আর জুয়ার বিপুল সরঞ্জামের পাশাপাশি প্রায় ২৫ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
একই রাতে মতিঝিলের ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাব এবং বনানী এলাকার একটি ক্যাসিনোতেও অভিযান চালানো হয়। ওয়ান্ডারার্স ক্লাব থেকে মাদক, জালটাকা, বিপুল পরিমাণ টাকা ও ক্যাসিনো সামগ্রী জব্দ করা হয়েছে।
এরপর ক্যাসিনোটি সিলগালা করে দেয়া হয়। এরপরই বনানীর আহমেদ টাওয়ারে অবস্থিত গোল্ডেন ঢাকা বাংলাদেশ নামের ক্যাসিনোতে অভিযান চালিয়ে সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া, বুধবার রাতেই গুলিস্তানে পীর ইয়েমেনি মার্কেটসংলগ্ন আরেকটি ক্যাসিনোতে অভিযান চালায় র্যাব। প্রত্যেকটি ক্যাসিনোর সাথেই রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা জড়িত থাকার কথা জানা গেছে।
Leave a reply