সোমবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের জলবায়ু সম্মেলনে একেবারে শুরুতেই বক্তব্য রাখল ১৬ বছরের সুইডিশ পরিবেশ কর্মী গ্রেটা থানবার্গ। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় কড়া ভাষায় উপস্থিত সকল রাষ্ট্রনেতাদের ধুয়ে দিলেন এই কিশোরী।
আর পরদিনই গ্রেটার ভিডিও-সহ টুইট করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বললেন, ’তাকে মনে হচ্ছে খুব সুখী একটা তরুণ মেয়ে যে উজ্জল একটা ভবিষ্যতের সন্ধানে আছে। দেখে ভাল লাগছে।’
এই টুইটকে মার্কিন সংবাদমাধ্যম কিশোরী মেয়েকে ব্যঙ্গ করার শামিল বলে অভিহিত করছে।
সোমবার রাষ্ট্রনেতাদের সামনে বলতে গিয়ে দৃশ্যতই আবেগমথিত হয়ে পড়ে গ্রেটা। সরাসরি আগের প্রজন্মকে দায়ী করে সে বলে, তারাই পৃথিবীকে সবচেয়ে দূষিত করেছে। আর তার ফলেই বর্তমান প্রজন্মের ঘাড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের বিপদের মোকাবিলার দায় বর্তেছে। নাহলে তার নিজের জাতিসংঘে বলতে আসার প্রয়োজনই পড়ত না। তার স্কুলে থাকার কথা ছিল। কিন্তু যুব সম্প্রদায়ের কাছেই এখন রাষ্ট্রনেতারা অনুপ্রেরণা খুঁজছেন। এরপরই তাবড় নেতাদের উদ্দেশ্যে সে বলে ওঠে ‘কী করে আপনাদের এত সাহস হয়?’
তার বক্তৃতা উপস্থিত রাষ্ট্রনেতাদের মুগ্ধ করলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট আছেন তাঁর অবস্থানেই। জলবায়ু পরিবর্তনের তত্ত্ব তিনি মানেন না। মনে করেন এটা উন্নত দেশগুলির কোষাগার থেকে অর্থ আদায় করার কৌশল। গ্রেটার ভাষণও ট্রাম্প শোনেননি। তিনি এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী বলার সময়ে।
Leave a reply