প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন আজ

|

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন আজ। মধুমতি নদী বিধৌত গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ১৯৪৭ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। রাজনৈতিক নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে শেখ হাসিনার বিচক্ষণতায় বাংলাদেশ পৌঁছে গেছে অনন্য উচ্চতায়। দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ উচ্চারণে দেশে-বিদেশে হয়েছেন প্রশংসিত বঙ্গবন্ধু কন্যা।

দাদা শেখ লুৎফর রহমান ও দাদি সাহেরা খাতুনের আদরের নাতনি শেখ হাসিনার শৈশব-কৈশোর কেটেছে নিজ গ্রাম টুঙ্গিপাড়ায়। রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হিসেবে কৈশোর থেকেই রাজনীতির হাতেখড়ি। জ্যেষ্ঠ সন্তান হওয়ায় কাছ থেকে দেখেছেন, বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম।

৭৫-র ১৫ আগস্টের বর্বরতা পরিবারের প্রায় সবাইকে কেড়ে নিলে, নতুন সংগ্রামের সূচনা হয় শেখ হাসিনার। শোককে শক্তিতে পরিণত করে দল ও সরকার পরিচালনায় পেয়েছেন নজিরবিহীন সাফল্য। বিশ্লেষকদের মতে, তার দূরদর্শী চিন্তা ও দুঃসাহসী ভূমিকাতেই, বিশ্বসভায় আজ সম্মানের স্থানে বাংলাদেশ।

টুঙ্গিপাড়ার পাঠশালাতেই শিক্ষাজীবন শুরু শেখ হাসিনার। ঢাকায়, কলেজে পড়ার সময়, ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক রাজনীতির সূচনা শেখ হাসিনার। পরে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদস্য এবং রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন, ৬ দফা আন্দোলনে।

বঙ্গবন্ধুর আগ্রহে ১৯৬৮ সালে পরমাণু বিজ্ঞানী ড.ওয়াজেদ মিয়ার সাথে বিয়ে হয় শেখ হাসিনার। বাবা জেলে, নিজে গৃহবন্দী-এমন অবস্থায় ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই প্রথম সন্তান ‘জয়’-এর মা হন। পরের বছর ৯ ডিসেম্বর জন্ম হয় কন্যা পুতুলের। রাজনীতির শত ব্যস্ততার মধ্যেও শেখ হাসিনা একজন মমতাময়ী মা, নানী ও দাদী।

শুভাকাঙ্খীদের মতে, বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখতেন, তা বাস্তবায়নে বাঙালি জাতির আলোর দিশারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply