Site icon Jamuna Television

রেনিটিডিনের আমদানি, উৎপাদন ও বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি

বাংলাদেশের বাজারে রেনিটিডিন ওষুধের কাঁচামাল আমদানি, উৎপাদন ও বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। রোববার রাজধানীর মহাখালীতে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের সভাকক্ষে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির নেতাদের সঙ্গে আলোচনা ক্রমে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এ ব্যাপারে আগামীকাল সোমবার জাতীয় দৈনিকে গণবিজ্ঞপ্তি জারি হবে বলেও জানানো হয়।

গ্যাস্ট্রিকের চিকিৎসায় বহুল সেবনকৃত রেনিটিডিন ট্যাবলেটে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদানের উপস্থিতি মিলেছে। যে কারণে বিশ্ববাজার থেকে ওষুধটি তুলে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।

এর আগে চলতি সপ্তাহে ভারতও রেনিটিডিনের আমদানি ও বিক্রি নিষিদ্ধ করে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিভাগ সেদেশের ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাজার থেকে এই গ্রুপের ওষুধ প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়।

বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা রেনিটিডিন ট্যাবলেটে ক্যান্সারের উপাদানের উপস্থিতির বিষয়ে তদন্ত শুরুর পর বিশ্বের শীর্ষ ওষুধ প্রস্তুতকারী ব্রিটিশ সংস্থা গ্ল্যাক্সো স্মিথ ক্লাইন (জিএসকে) এ ঘোষণা দিয়েছে। রেনিটিডিন গ্রুপের রেনট্যাক, রেনট্যাক-ওডি, আর-লক, রেনিটিনও গ্যাসের ট্যাবলেট হিসেবে বেশ জনপ্রিয়।

এবিষয়ে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবার কথা বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ শিল্প সমিতির নেতাদের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা শেষে রেনিটিডিন ওষুধের কাঁচামাল আমদানি উৎপাদন ও বিক্রির উপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

তিনি জানান, বর্তমানে বাংলাদেশের ৩১টি ওষুধ কোম্পানি প্রতিবেশী দেশ ভারতের ফারাক্কা নামক একটি কোম্পানি থেকে রেনিটিডিন ট্যাবলেট এর কাঁচামাল আমদানি করে। এছাড়া ডক্টর রেড্ডি নামক আরেকটি কোম্পানির কাঁচামাল আমদানির জন্য ব্লাক লিস্টে তালিকাভুক্ত থাকলেও সেখান থেকে এখনো আমদানি করা হয়নি। জনস্বার্থ বিবেচনায় এ দু’টি কোম্পানি থেকে রেনিটিডিন এর কাঁচামাল আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়। এছাড়া ওই কোম্পানি থেকে আমদানিকৃত কাঁচামাল দিয়ে নতুন করে কোন রেনিটিডিন উৎপাদন করা যাবে না। শুধু তাই নয়, বাজার থেকে কোম্পানিগুলো স্ব-উদ্যোগে রেনিটিডিন ট্যাবলেট প্রত্যাহার করে নেবে।

Exit mobile version