পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় মদ্যপান ও বহনের অভিযোগে যুবলীগ নেতা বশিরসহ ৫জনকে আটক করছে পুলিশ। সোমবার রাতে সমুুদ্র সৈকত কুয়াকাটার সী বীচ থেকে ২জন ও মহিপুর এলাকা থেকে ৩জনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে তাদেরকে মহিপুর থানা হাজতখানায় রাখা হয়েছে। এদিকে যুবলীগ নেতা বশিরকে ছাড়িয়ে নিতে আটকের পর থেকে বিভিন্ন স্থান থেকে লবিং তদবির চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের অভিযানে আটক কৃতরা হলেন মহিপুর থানার তুলাতলি এলাকার নবিনপুরের মোঃ জালাল হাওলাদারের ছেলে মহিপুর থানা যুবলীগের সদস্য ও কুয়াকাটা পৌর যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী মোঃ বশির হাওলাদার (৩৫), তার সহযোগি মোঃ সুলতান বাদশার ছেলে মোঃ সজল বাদশা (৩২) টিয়াখালী এলাকার রমিজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ নেছার উদ্দিন (২৮)।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বশির মহিপুর থানা যুবলীগের নেতা বলে নিজেকে পরিচয় দিয়ে এলাকায় মাদক সাম্রাজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বর্তমানে মহিপুর থানা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য পরিচয়ে এলাকায় ব্যানার ফেস্টুন টানিয়েছেন। এছাড়া বশিরের বিরুদ্ধে কুয়াকাটায় মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া কলাপাড়া আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমানকে শুভেচ্ছ ও অভিনন্দন জানিয়ে বশিরের রঙ্গিন ব্যানার ফেস্টুনে গোটা কুয়াকাটা এলাকা সয়লব হয়ে গেছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. খলিলুর রহমান জানান, আটক কৃতরা কুয়াকাটা জিরো পয়েন্টের পূর্ব পার্শে বেঞ্চে বসে প্রকাশ্যে মদ পান করে আগত পর্যটকদের উদ্দেশ্যে করে গালাগাল করে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করার অভিযোগে সীবিচে ট্যুরিষ্ট পুলিশের দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা তাদের আটক করে। পরে তাদের মহিপুর থানার এস আই মোঃ তারেক ও তাহার সঙ্গীয় ফোর্সের নিকট হস্থান্তর করা হয়েছে।
এদিকে এরকিছুক্ষন পর বিশেষ অভিযানে সন্দেহ হলে ফয়সাল (২৮) ও বাপ্পি খলিফা (২৫) কে আড়াই লিডার মদসহ আটক করেছে মহিপুর থানা পুলিশ।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. সোহেল আহমেদ আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আটক কৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার প্রক্রিয়া চলছে এবং এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালীর ছত্রচ্ছয়ায় একদল বাহিনী প্রায়ই মদ্যপ অবস্থায় কুয়াকাটা সী বিচে পর্যটকদের গালাগালসহ হেনস্থা পর্যন্ত করতে দিধাবোধ করছেনা। এতে পর্যটকরা অতিষ্ট হয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ দিয়ে আসছে।
Leave a reply