বিপ টেস্টে ফেল আশরাফুল, তুষার, নাসিররা

|

জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) ফিটনেস টেস্টে পাস করতে পারেনি বেশিরভাগ সিনিয়র ক্রিকেটার। বিপ টেস্টে বিসিবির দেয়া ১১ পয়েন্টের মানদণ্ড ছোঁয়ার লড়াইয়ে তুষার ইমরানের স্কোর মাত্র ৮.১১। আশরাফুল, আব্দুর রাজ্জাক, নাসির হোসেনের মতো ক্রিকেটাররা তুলতে পারেনি ১০ পয়েন্টও। তবে শাহরিয়ার নাফিস, শামসুর রহমান, সোহরাওয়ার্দী শুভর মতো ক্রিকেটাররা পার করেছেন ১১ পয়েন্টের বেঞ্চ মার্ক।

জাতীয় লিগের আগে আলোচনায় ছিলো ক্রিকেটারদের ফিটনেস। কার ফিটনেস কোন পর্যায়ে তার পরীক্ষাই হলো ঢাকাসহ সব বিভাগীয় শহরে।

আগেই বিসিবি বিপ টেস্টের মানদণ্ড ঠিক করে দিয়েছিলো ১১। এটি নিয়ে ছিল নানা আলোচনা। সিনিয়র অনেক ক্রিকেটার সেই পরীক্ষায় উতরাতে পারবেন কিনা সেটি নিয়ে ছিল সংশয়। বাস্তবে সত্যও হল তাই। সিনিয়দের অধিকাংশই ফেল। সবচেয়ে খারাপ করেছেন ঘরোয়া লিগের রান মেশিন তুষার ইমরান। খুলনায় টেস্ট দিয়ে তার স্কোর মাত্র ৮.১১। উতরাতে ব্যর্থ মোহাম্মদ আশরাফুলও। তার পয়েন্ট ৯.৭।

আব্দুর রাজ্জাক ৯.৫, নাদিফ চৌধুরী ১০.৩, মোহাম্মদ শরিফ ১০.৬ পেয়েছেন। আরাফাত সানির স্কোর ১০.৯। দেশের একসময়ের সেরা ফিল্ডার, যার ফিটনেস নিয়ে সবাই প্রশংসা করতেন সেই নাসির হোসেনও কিনা ৯.৭ পয়েন্ট পেয়ে ফেল!

অবশ্য, স্রোতের বিপরীতেও আছে কেউ কেউ। ১১ পয়েন্টের বেঞ্চ মার্ক পার করেছেন দুই শুভ। শামসুর রহমান শুভ পেয়েছেন ১১.৬ আর সোহরাওয়ার্দী শুভ পেয়েছেন ১১.৪। এছাড়াও বরিশালে টেস্ট দিয়ে শাহরিয়ার নাফীস ১১.২, কামরুল ইসলাম ও ফজলে রাব্বি দু’জনই করেছেন ১১.৭।

তাহলে কি বিপ টেস্টে ১১ স্কোর করতে না পারায় আশরাফুল, রাজ্জাক, তুষার ইমরানদের এনসিএল খেলা হবে না? বিসিবি আপতত অনড় অবস্থানে।

তবে, মিরপুরের ইনডোরে জাতীয় দলের কোনো ক্রিকেটার আজ বিপ টেস্ট দেয়নি। সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় দল, এইচপি ও অনুর্ধ্ব ১৯ দলে যারা ১১.৬ স্কোর করেছে তাদের দিতে হবে না পরীক্ষা- এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবির ট্রেনার তুষার কান্তি হাওলাদার।

তবে তরুণ ক্রিকেটারদের ফিটনেস খুব ভালো। প্রায় ৯৫ শতাংশ ক্রিকেটারই পাস করেছে টেস্টে বলছে বোর্ড। ১২ থেকে ১৩ স্কোর করেছেন বেশ কিছু ক্রিকেটার।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply