বিমানে দীর্ঘ ভ্রমণে যাত্রীদের সবচেয়ে বড় সমস্যা দেখা দেয় ঘুমানোর ক্ষেত্রে। বিমানের ভেতরে তাপমাত্রা কমবেশি হওয়া, অনভ্যস্ততা সব কিছু মিলিয়ে ঠিক মতো ঘুম হয় না।
তাপমাত্রার তারতম্য কমিয়ে কীভাবে যাত্রীদের ঘুম আরও নির্বিঘ্ন করা যায় এ নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছিলো এয়ার নিউজিল্যান্ড। এরই মধ্যে সমাধানও পাওয়া গেল। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা তাদের মহাকাশচারীদের জন্য বিশেষ প্রযুক্তিতে বালিশ বানিয়েছিলো।
এই বালিশ শরীরের কাছে থাকলে আশপাশের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। যদি ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রা কমে যায় তাহলে বালিশ থেকে প্রয়োজনীয় তাপ বের হয়ে শরীরকে স্বাভাবিক রাখবে।
আবার যদি শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় তাহলে বালিশ থেকে স্বনিয়ন্ত্রিতভাবে প্রয়োজনীয় মাত্রায় ঠাণ্ডা বাতাস বের হয়ে শরীরকে স্বাভাবিক রাখবে। এতে ব্যক্তি ঘুমন্ত থাকলে তার ব্যাঘাত ঘটবে না। অর্থাৎ, হঠাৎ বেশি ঠাণ্ডা বা বেশি গরমের কারণে ঘুম ভাঙবে না।
মহাকাশচারীদের জন্য এটি খুবই প্রয়োজন। কারণ মহাকাশে তাপমাত্রার তারতম্য খুব বেশি। বিমানেও কেবিন ক্রুরা বাইরের পরিবেশের সাথে মিলিয়ে কেবিনের ভেতরের তাপমাত্রা কমান বা বাড়ান। এতে কেউ ঘুমের মধ্যে থাকলে তাতে ব্যাঘাত ঘটা স্বাভাবিক। এই সমস্যা সমাধানের জন্যই এয়ার নিউজিল্যান্ড তাদের ফ্লাইটগুলোতে নাসার ওই বিশেষ বালিশ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইতোমধ্যে শিকাগো রুটের বিজনেস ক্লাস যাত্রীদের জন্য এই বালিশ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। পরে অন্যান্য রুটেও এই সুবিধা চালু করা হবে। তবে শুধুমাত্র বিজনেস ক্লাস যাত্রীরা সুবিধাটি পাবেন।
এয়ার নিউজিল্যান্ডের সিনিয়র ম্যানেজার নিকি শেভ বলেছেন, তার প্রতিষ্ঠান সব সময়ই চেয়েছে যাত্রীদের যাত্রা আরামদায়ক করতে। দীর্ঘ যাত্রাপথে শান্তিতে ঘুমানোর বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই নতুন বালিশ যাত্রীদের শান্তিতে ঘুমাতে সাহায্য করবে।”
নাসার প্রযুক্তিতে তৈরি এই বালিশটির দাম কত হতে পারে? মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানাচ্ছে, কভারসহ একটি বালিশের দাম ১২৩ ডলার বা ১ হাজার ৪০০ টাকা। অনলাইন বেচাকেনা ওয়েবসাইট অ্যামজন ডটকমেও এই দামেই পাওয়া যাচ্ছে এই বালিশ।
সূত্র:স্কুপ, ব্লুমবার্গ।
Leave a reply