জি কে শামীম আরও ৯ দিনের রিমান্ডে

|

অস্ত্র ও অর্থ পাচারের দুই মামলায় ‘টেন্ডার কিং’ হিসেবে পরিচিত জি কে শামীমকে আরও ৯ দি‌নের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জ‌সিম এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিন অস্ত্র ও মাদক আইনের দুই মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড শেষে জি কে শামীমকে আদাল‌তে হা‌জির ক‌রে অস্ত্র মামলায় আরও সাতদিন ও অর্থ পাচার মামলায় ১০ দি‌নের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ।

শুনানি শেষে আদালত অস্ত্র মামলায় চারদিন ও অর্থ পাচার মামলায় পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে মঙ্গলবার অর্থ পাচার মামলায় ফের ৪ দিনের রিমান্ডে দেয়া হয় জি কে শামীমের সাত বডিগার্ডকে। এদিন তাদের আদালতে হাজির করে জি কে শামীমসহ প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ রিমান্ডের এ আবেদন করেন।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামিদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার আইনের মামলা ছাড়াও অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলা রয়েছে। র‌্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে অভিযানে জি কে শামীমের অফিসের লোহার সিন্দুক থেকে নগদ অর্থ, চেক বই, এফডিআর ও বিদেশি মুদ্রা পাওয়া গেছে। সেখানে বাংলাদেশি মুদ্রায় এক কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা ও ৯ হাজার ইউএস ডলার পাওয়া যায়। এছাড়া আসামির মায়ের নামীয় ১০টি এফডিআরে ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকাসহ মোট ৩৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও চেক বইয়ের পাতা জব্দ করা হয়। র‌্যাবের কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বাদী হয়ে অর্থ পাচার আইনের এ মামলাটি করেন।

ঘটনার প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রকাশ পায়, এসএম গোলাম কিবরিয়া শামীম (জি কে শামীম) একজন চিহ্নিত চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, অবৈধ মাদক ও জুয়ার ব্যবসায়ী (ক্যাসিনো) হিসেবে পরিচিত। তার সাত বডিগার্ড দীর্ঘদিন ধরে তাদের নিজেদের লাইসেন্স করা অস্ত্র প্রকাশ্য বহন, প্রদর্শন ও ব্যবহার করে লোকজনের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করেন। তারা টেন্ডারবাজি, মাদক ও জুয়ার ব্যবসাসহ স্থানীয় বাস টার্মিনাল, গরুর হাটবাজারে চাঁদাবাজি করে। এর মাধ্যমে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থের মালিক হওয়ার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হলেও ব্যাপক তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা একান্ত প্রয়োজন।

এদিন জি কে শামীম মাদক মামলায় রিমান্ডে থাকায় অর্থ পাচার আইনের এ মামলায় তার রিমান্ড শুনানি হয়নি।

গত ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিজ কার্যালয়ে সাত বডিগার্ডসহ গ্রেফতার হন জি কে শামীম। পরে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও অর্থ পাচার আইনে তিনটি মামলা করা হয়। ২১ সেপ্টেম্বর শামীমের অস্ত্র ও মাদক মামলায় পাঁচ দিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।

একই সঙ্গে সাত বডিগার্ডের অস্ত্র আইনের মামলায় চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর হয়। এদিকে ২৭ সেপ্টেম্বর অস্ত্র মামলায় রিমান্ড শেষে জি কে শামীমকে মাদক আইনের মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply