বাবা এসেছেন ছেলের ক্যাম্পাসে। এবার বাড়ি থেকে খাবার টিফিন নিয়ে আসেননি। কিনে আনেনি এটা সেটা। নিয়ে এসেছে কফিন। ছেলেকে নিয়ে যাবেন এতে করেই।
তিনি আবরার ফাহাদের বাবা। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরে বাংলা হলে বরকতুল্লাহ এসেছেন আজ সোমবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে।
রাতেই আবরারের লাশ বুঝে নেবেন তিনি। বুয়েটের প্রথম জানাজা শেষে গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার উদ্দেশে রওয়ানা দেবেন ছেলের লাশ নিয়ে।
আবরার হত্যাকাণ্ডে এরই মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আটক করা অব্যাহত রয়েছে।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি ছাত্রলীগ থেকেও করা হয়েছে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি। এই কমিটিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি খন্দকার জামিউশ সানি।
প্রসঙ্গত, আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি কুষ্টিয়া জেলায়। রোববার (৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৮টার দিকে শের-ই বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে কয়েকজন আবরারকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর রাত দুইটা পর্যন্ত তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে শের-ই বাংলা হলের একতলা ও দুই তলার মাঝখানের সিঁড়ি থেকে আবরারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
Leave a reply