রোহিঙ্গাদের সাথে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর আচরণকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে আখ্যা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনী নির্বিচার নৃশংসতা চালিয়েছে। ফরাসি টিভি চ্যানেল ফ্রান্স টোয়েন্টি ফোরকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেন তিনি। এসময় রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে আশাবাদের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে সংকট তৈরি হলেও মানবিক কারণেই রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। তবে দ্বি-পাক্ষিক আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে তাদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে আশাবাদী ঢাকা।
একান্ত এই আলাপচারিতায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ঠেকাতে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা এবং জঙ্গিবাদে অর্থায়ন বন্ধের তাগিদও দেন প্রধানমন্ত্রী।
গেলো সপ্তাহের সোমবার জলবায়ু বিষয়ক ‘ওয়ান প্ল্যানেট সামিট’-এ যোগ দিতে ফ্রান্সের প্যারিসে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্মেলনে অংশ নেয়ার পাশাপাশি মুখোমুখি হন ফরাসি টিভি চ্যানেল ফ্রান্স টোয়েন্টি ফোরের।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনী নির্বিচার গণহত্যা চালিয়েছে। বাংলাদেশের জন্য বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া চ্যালেঞ্জিং হলেও মানবিক কারণে নমনীয় হয়েছে ঢাকা। তবে তাদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে আশাবাদের সুর প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠে।
মিয়ানমারে ফিরে রোহিঙ্গারা ফের নিপীড়নের শিকার হবে কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক মহলকে এ ব্যাপারে নজরদারি বাড়াতে হবে।
সম্প্রতি নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে সন্ত্রাসী হামলা চালানো, আকায়েদ উল্লাহ’র প্রসঙ্গও উঠে আসে। শেখ হাসিনা জানান, উগ্রপন্থা দমনে তার সরকার জিরো টলারেন্স নীতির গ্রহণ করেছে। বৈশ্বিক জঙ্গিবাদের অর্থায়ন বন্ধের তাগিদ দেন তিনি।
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী না হয়েও বাংলাদেশকে ভুগতে হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ঠেকাতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের আরও কার্যকর পদক্ষেপ জরুরি বলে মত দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply