কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরকে নিজেই অস্বীকার করেছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও চট্টগ্রামের একটি সরকারি প্রকল্পের সাব-কন্ট্রাক্টর আবু তৈয়ব। এছাড়া গণপূর্ত বিভাগও জানিয়েছে এ ধরনের খবর সঠিক নয়। কোনো প্রকল্পের টাকা পুরোটা কখনো ঠিকাদারকে দেয়া হয় না। ফলে তা ফেরত দেয়ারও প্রশ্ন নেই।
পিডাব্লিউডি (গণপূর্ত বিভাগ) চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহজাহান বলেন, ‘ঠিকাদারের পক্ষ থেকে টাকা ফেরত দেয়ার তো কোনো সুযোগই নেই। বায়েজিদ পার্কে ১২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা প্রকল্পের আনুমানিক ব্যয় ছিলো। এটা চূড়ান্ত কিছু নয়। কখনো কোনো ঠিকাদারকে প্রকল্পের আনুমানিক ব্যয়ের পুরো টাকা দেয়া হয় না। এটার সুযোগই নেই। কারণ প্রথমে যে ব্যয় ধরা হয় তা আনুমানিক। কাজ শেষে খরচ কমবেশি হতে পারে। ফলে আনুমানিক ব্যয় যেটা ধরা হয় সেটি ঠিকাদারকে একসাথে দেয়া হবে কেন?’
শাহজাহান আরও বলেন, ‘আর তৈয়ব নামে আমাদের কোনো ঠিকাদার নেই। ওই প্রকল্পের ঠিকাদার হচ্ছেন অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা। তৈয়ব নামে কেউ তাদের সাথে ইনফরমালি কাজ করলে আমাদের জানা নেই।’
তিনি জানান, ২০১৭ তে শুরু হয়ে ২০১৮ এর ডিসেম্বরে প্রকল্পটির কাজ শেষ হয়। তখন মোট প্রকল্প ব্যয় নির্ধারিত হয়, এবং তখনই হিসাব করে দেখা যায় মোট ব্যয় ৮ কোটি টাকার কিছু বেশি হয়েছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু তৈয়ব বলেন, ‘ভাই, আমাকে নিয়ে কেন এসব হচ্ছে আমি বুঝতে পারছি না। আমি তো ওই প্রকল্পের ঠিকাদারই না। সাব-কন্ট্রাক্টর হিসেবে কিছু কাজ করেছি। আমি কীভাবে পুরো প্রকল্পের টাকা ফেরত দেব?’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রকল্পের যে ব্যয় প্রথমে ধরা হয়েছিল সেটা ছাড় হয়ে (অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে) পিডাব্লিউডি (গণপূর্ত বিভাগ) এর কাছে এসেছিলো। কিন্তু কাজ শেষে পুরো টাকা না লাগায় সেটি ফেরত গেছে। কিন্তু ঠিকাদারের হাত থেকে তো ফেরত যাওয়ার সুযোগ নেই। কারণ এই টাকা তো ঠিকাদারের কাছেই আসে নাই।’
সংবাদমাধ্যমে এ সংক্রান্ত রিপোর্টে তো আপনার বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে আপনি টাকা ফেরত দিয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন। আপনি কি তাহলে এখন ভিন্ন কথা বলছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে আবু তৈয়ব বলেন, ‘আমি বলিনি আমি ফেরত পাঠিয়েছি। বলেছি পিডাব্লিউডি থেকে টাকাটা ফেরত গেছে। ঠিকাদার বা আমি বেঁচে যাওয়া টাকা ফেরত পাঠিয়েছি এমন কথা আমি বলিনি।’
Leave a reply