চলমান শুদ্ধি অভিযানে যুবলীগের বেশকিছু শীর্ষ নেতা গ্রেফতার হওয়ার পর নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী। জানা গেছে, তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দলীয় কার্যালয়ে যান না তিনি। তার আড্ডার স্থান ধানমন্ডির যুব গবেষণা কেন্দ্রেও তাকে দেখা যায় না। মোটামুটি বাসায় চার দেয়ালের মধ্যে সময় কাটছে তার।
গত ২০ সেপ্টেম্বর যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের একটি ওয়ার্ড কমিটির সম্মেলনে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল ওমর ফারুক চৌধুরীকে। এরপর থেকে আর তার দেখা পাননি নেতাকর্মীরা। শুক্রবার যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সভায়ও হাজির হননি ওমর ফারুক চৌধুরী। কাউন্সিলের আগে অনুষ্ঠিত গুরুত্বপূর্ণ এই সভায় তার অনুপস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। তখন, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ শীর্ষ নের্তৃবৃন্দ তার না আসার কারণ সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানাতে পারেননি। কেউ বলেছেন, তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকতে পারেন, কারও মত তিনি হয়তো ব্যক্তিগত কোনো কারণে আসেননি। আবার কোনো কোনো নেতার ভাষ্য, তারা জানেন না তিনি কেনো আসেননি।
এরইমধ্যে, যুবলীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। ২৩ নভেম্বর যুবলীগের ৭ম কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হবে। কংগ্রেসের তারিখ ঘোষণার পরে যুবলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে চাঙাভাব তৈরি হয়েছে। পদপ্রত্যাশীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। কিন্তু বর্তমান চেয়ারম্যানের সাথে দেখা পাচ্ছেন না। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনেকে অপেক্ষা করেছেন তার সাক্ষাৎ পেতে। অনেকে ফোনেও যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন।
জানা গেছে, ব্যাংক হিসাব তলব ও বিদেশ যাত্রায় বিধি-নিষেধ জারির পর ওমর ফারুক চৌধুরী প্রকাশ্যে আসছেন না। ধানমন্ডির বাসায় তিনি অবস্থান করছেন বলে নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন।
তার বাসায় আগে নেতাকর্মীদের ভিড় লেগে থাকত। ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরুর পর প্রথম দিকে অনেক নেতাকর্মী যুবলীগ চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে সেখানে গিয়েছেন। কিন্তু কয়েকদিন ধরে সেখানে কারও দেখা মিলছে না।
উল্লেখ্য, অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসাসহ নানা অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন যুবলীগের সদ্য বহিষ্কৃত নেতা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী। তিনি যুবলীগ চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। একই সময়ে, যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর ব্যাংক হিসেব তলব ও দেশত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এরপর থেকেই আড়ালে চলে গেছেন তিনি।
Leave a reply