দুটি পেনাল্টি না পাওয়ার বেদনাকে পাশে ঠেলে ভারতের বিপক্ষে দারুণভাবে এগিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ দিকে আচমকা গোল খেয়ে ভারতকে হারানোর স্বপ্নভঙ্গ হলো সাদ উদ্দিনদের। কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপ ও পরের বছরের এশিয়া কাপের যৌথ বাছাইপর্বের ম্যাচে দারুণ উত্তেজনাপূর্ণ এক ম্যাচই হলো।
বাছাই পর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে সমানতালে খেলেছে জামাল ভূুইয়ার দল। প্রথমার্ধেই দুটি পেনাল্টি পেতে পারত বাংলাদেশ। খেলা শুরুর ২০ সেকেন্ডের মাথায় বাম প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে উঠেছিলেন লেফট উইঙ্গার ইব্রাহিম। তাকের বক্সের মধ্যে ফেলে দেন ভারতের রাহুল ভেকে। পরিষ্কার দেখা গেছে, তাকে বেআইনিভাবে ফাউল করেছেন ভেকে। ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) না থাকায় সে যাত্রায় বেঁচে যায় ভারত। এরপর ৮ মিনিটের মাথায় ভারতের বক্সের মধ্যে সেই ভেকেই আবারও ফাউল করেছিলেন। এবারও পেনাল্টি দেননি রেফারি। টিভি ধারাভাষ্যকেরা পেনাল্টি না দেওয়ায় সমালোচনাও করেন।
প্রথমার্ধে ভারত বেশি আক্রমণ করলেও গোলের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশই। ৪২ মিনিটে অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়ার সেট পিস থেকে উড়ন্ত হেডে গোল করেন সাদ উদ্দিন। বলটি বাতাসে ভাসতে ভাসতে ভারতের গোলরক্ষককে পেরিয়ে গেলেও চোখ রেখেছিলেন সাদ। উড়ন্ত হেডে বলের দিক পরিবর্তন করে জালে পাঠান।
এর আগে, ৩০তম মিনিটে আদিলের ভুলে বল পেয়ে ডান দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা বিপলু আহমেদের বাড়ানো ক্রসে নাবীব নেওয়াজ জীবন পা ছোঁয়ানোর আগেই এক ডিফেন্ডার কর্নারের বিনিময়ে ফেরান। একটু পর সোহেলের ছোট করে বাড়ানো বল ভালো জায়গায় পেলেও তালগোল পাকিয়ে সুযোগ নষ্ট করেন জীবন। ম্যাচজুড়ে বেশ কয়েকবার গোলের সুযোগ তৈরি করেও কাজে লাগাতে পারেনি জেমি ডে’র শিষ্যরা। তবে, ঠিকই ভারতের টেম্পারমেন্টের পরীক্ষা নিচ্ছিল তারা।
বাংলাদেশের জয় যখন সুনিশ্চিত মনে হচ্ছিল তখন ম্যাচের ৮৮ মিনিটে আচমকা হেডে গোল করে বসেন ভারতের আদিল খান। ভারতের উদযাপন দেখেই স্পষ্ট গোলের জন্য তারা কতটা মরিয়া ছিলো। গ্যালারি ভেঙে পড়ে উচ্ছ্বাসে।
দিনশেষে, ড্র-করা ম্যাচে র্যাঙ্কিংয়ে ৮৩ ধাপ এগিয়ে থাকা ভারতের উচ্ছ্বাসই বাংলাদেশের বড় স্বীকৃতি। সুদিনের সুবাস ছড়াচ্ছে এই দলটি।
Leave a reply