বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর উত্তাল হয়ে উঠে ক্যাম্পাস। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বুয়েট ক্যাম্পাসে সব ধরনের সাংগঠনিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকসহ বেশ কিছু নেতাকর্মী আটক হয়েছেন। ফলে সেখানে ছাত্রলীগের কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে গেছে। ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের অফিস কক্ষগুলো সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে, বুয়েটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ফলকে বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত ডিজিটাল ব্যানারের নিচে লেখা ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’ থেকে ‘ছাত্রলীগ’ শব্দটি সাদা রং দিয়ে মুছে দিয়েছে কে বা কারা।
এই সম্পর্কে নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি কেউ। কেউ কেউ ধারণা করছেন ভর্তি পরীক্ষার সময় কেউ এ কাজটি করে থাকতে পারেন। আবার কারও কথা, ক্যাম্পাসের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের কেউ এটি করে থাকতে পারে।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে শহীদ মিনার তৈরি করা হয়। সেখানে নিজেদের অবস্থান জানান দিতে ফলকের মধ্যে ব্যানার লাগিয়ে দেয় ছাত্রলীগ। গত দু’বছর ধরে এভাবেই চলছিল।
এ নিয়ে ক্যাম্পাসজুড়ে আলোচনা চলছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কেউ এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য দিতে চাননি।
প্রসঙ্গত ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় অকথ্য নির্যাতনের পর মারা যান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ। শেরেবাংলা হলের নিজের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে ডেকে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে বেধড়ক পেটানো বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী। মারধরের সময় আবরারকে ‘শিবিরকর্মী’ হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালায় তারা।
Leave a reply