বিশ্বের সবচেয়ে খাড়া রেলপথ চালু হলো সুইজারল্যান্ডে। গত রোববার থেকে এটি সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। জুরিখের দক্ষিণে শুইৎজ থেকে স্টুস পর্যন্ত প্রায় ১৭শ মিটার দীর্ঘ এপথ পাড়ি দিতে সময় লাগবে ৪ মিনিটের কম সময়। রেলপথটি তৈরিতে ব্যয় হয়েছে ৫ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৩শ মিটার উঁচুতে সুইজারল্যান্ডের পাবর্ত্য এলাকা স্টুস। স্কি রিসোর্ট হিসেবে জনপ্রিয় অঞ্চলটিতে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ছিলো ক্যাবলকার। কিন্তু আধুনিক প্রকৌশল ও প্রযুক্তির কল্যাণে সব বাধা অতিক্রম করলো সুইসরা। স্টুসে পৌঁছাতে চালু হলো বিশ্বের সবচেয়ে খাড়া রেলপথ’স্টুসবান’।
জুরিখের সুইৎজ থেকে পাবর্ত্য এলাকা ‘স্টুসবান’ পর্যন্ত সবচেয়ে খাড়া এই রেলপথের দৈর্ঘ্য ১৭শ’২০ মিটার। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে সাতশ’ মিটার পথ পাড়ি দিতে হবে খাড়াভাবে। এ সময় প্রায় ৪৭ ডিগ্রী কৌণিকভাবে চলবে ট্রেনটি। অবশ্য তাতে আরামে ব্যাঘাত হবে না যাত্রীদের। ট্রেন উপরে উঠলে বা নিচে নামলেও যাত্রীদের আনুভূমিক অবস্থান ধরে রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে ব্যারেল আকৃতির ট্রেনের কামরাগুলোতে।
অসম্ভবকে সম্ভব করার এ কর্মযজ্ঞের শুরু ২০০৩ সালে। নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের কঠোর সাধনা আর শ্রমিকের পরিশ্রমে প্রায় ৫ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিত হয় খাড়া এ রেলপথ। প্রকল্পের নির্ধারিত সময় ২০১৫ ধরা হলেও অর্থসংস্থান আর প্রযুক্তিগত জটিলতায় দুই বছর পিছিয়ে যায় নির্মাণ কাজ।
ট্রেনের ব্যারেল আকৃতির ৪টি কোচে ৩৪ জন যাত্রী ভ্রমণ করতে পারবে। এই রেলপথকে সুইজারল্যান্ডের যাতায়াত ব্যবস্থার বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন নির্মাতারা। বলা হচ্ছে, পর্যটন ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা রাখবে স্টুসবান।
স্টুসবানের প্রজেক্ট ম্যানেজার ব্রুনো লিফার্ট বলেন, এটা আমাদের বড় সাফল্য। যদিও এখানে সময় কিছুটা বেশি লেগেছে। জনগণের সুবিধার কথা বিবেচনা করেই এ প্রকল্প নেয়া হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে খাড়া রেল পথ তৈরি করে রেকর্ড ভাঙ্গার কোনো বাসনা আমাদের ছিল না।
সুইজারল্যান্ডের রাজধানী বার্নের দ্যা গেলমারবান রেলপথটি ছিলো এতোদিন ছিলো বিশ্বের সবচেয়ে খাড়া রেলপথ। সেটিকেই ছাড়িয়ে গেলো স্টুসবান। খাড়া রেলপথের দিক দিয়ে তৃতীয় অবস্থানে ইংল্যান্ডের ইস্ট ক্লিফ লিফ্ট।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply