পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
মোবাইলে ছবি দেখাকে কেন্দ্র করে স্বামী~স্ত্রীর সাথে ঝগড়ার পনের দিন পর শ্বশুড়বাড়ী বেড়াতে এসে আজ বিকালে পরিকল্পিতভাবে ঘুমন্ত অবস্থায় স্বামী ইলিয়াস কে জবাই করে হত্যার চেষ্টা করেছে স্ত্রী তানিয়া বেগম, শ্যালক মেহেদিসহ শ্বশুড়বাড়ীর লোকজন।
আশংকাজনক অবস্থায় ইলিয়াস কে পটুয়াখালীর ২৫০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
এব্যাপারে আহত ইলিয়াসের বড় বোন মাকসুদা বেগম বাদী হয়ে সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান।
ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালী শহরের পল্লীবিদ্যুৎ সংলগ্ন স্বাধীনতা সড়ক এলাকায় ইলিয়াসের শ্বশুর হাফেজ হাওলাদারের বাড়ীতে।
আহত ইলিয়াস সদর উপজেলার টাউন জৈনকাঠি ইউনিয়নের সেহাকাঠি গ্রামের নুরুল ইসলাম জোমাদ্দারের ছেলে।
ইলিয়াসের ওই এলাকার বুড়িয়ার খেয়াঘাট এলাকায় মোবাইল ফোন সার্ভিসিং এর দোকান রয়েছে।
ইলিয়াসের নিকটাত্মীয় পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নিজাম উদ্দিন জানান, আজ থেকে পনের দিন আগে মোবাইল ফোনে ছবি দেখাকে কেন্দ্র করে ইলিয়াস ও তানিয়ার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তানিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের দুই বছরের সন্তানকে থাপ্পড় দিলে স্বামী রেগে গিয়ে তানিয়াকে মারধর করে। এনিয়ে ওই দিনই বাড়ীর লোকজন মিলে স্বামী~স্ত্রীকে বুঝিয়ে সান্ত্বনা দেয় এবং পরবর্তীতে এরকম ঘটনা আর যাতে না ঘটে তার জন্য বলা হয়। কিন্তু স্ত্রী তানিয়া হয়ে ওই দিন বিকালে জৈনকাঠির শ্বশুড়বাড়ী থেকে রাগ করে শহরের পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় বাপের বাড়ী চলে আসে। পরে এনিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিশ ব্যবস্থার পর আজ সকালে ইলিয়াস তানিয়াকে নিয়ে আসতে শ্বশুর বাড়ীতে যায়।
ইলিয়াসের বড় বোন মাকসুদা বেগম ইলিয়াসের বরাদ দিয়ে জানান, দুপুরের খাবারের পর ইলিয়াস ঘুমিয়ে ছিল। কথা ছিল বিকালে তানিয়া তার স্বামীর সাথে স্বামীর বাড়ী চলে আসবে। কিন্তু সেই ফাকে ইলিয়াসের শ্যালক মেহেদি, স্ত্রী তানিয়া, তানিয়ার বোন রানিসহ আরো তিন-চার জন মিলে ইলিয়াসকে জবাই করার উদ্দেশ্যে গলায় ছুড়ি দিয়ে পোঁচ দেয়। এসময় ডাক-চিৎকার দিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় বাসা থেকে বেড়িয়ে পরলে পাশেরবাড়ীর লোকজন ইলিয়াসকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
Leave a reply