সৌদিতে ৩৫ ওমরাহযাত্রী নিহতের মধ্যে বাংলাদেশি দুই ভাই

|

সৌদি আরবে বাসে আগুন লেগে ৩৫ ওমরাহযাত্রী বহনকারী নিহতের পরিচয় শনাক্ত করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

আর এসব নিহতের মধ্যে দুজন বাংলাদেশি বলে খবর পাওয়া গেছে। ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় দুজনই সহোদর। এ ছাড়া তাদের আরেক ভাই গুরুতর আহত হয়েছেন।

তাদের নাম- আবদুল হালিম (৩২) ও মেজ দ্বীন ইসলাম (২৮)। দুজনের মধ্যে হালিম বড়। আর একই বাসে ছিলেন এ দুই সহোদরের ছোট ভাই ইসলাম উদ্দিন (২৫)। এ তিন ভাইয়ের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভায়।

আহত ইসলাম উদ্দিনকে মদিনার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

বুধবার (১৭ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে আহত ইসলাম উদ্দিন মোবাইল ফোনে নিজেই তার পরিবারকে দুই ভাইয়ের মৃত্যুর খবর জানান।

মোবাইল ফোনে এ সংবাদ পেয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তাদের পরিবারটিতে।

একসঙ্গে দুই ভাইয়ের মৃত্যুর খবরটি পরিবার ও স্বজনদের কাছে দুঃসহনীয় ও বর্ণনাতীত। তাদের সান্ত্বনা দেয়ার কোনো ভাষাই খুঁজে পাচ্ছেন না স্থানীয়রা।

কান্না ও বিলাপে বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে গোটা কাঞ্চন পৌরসভা। এ সংবাদ শোনার পরপর শতশত মানুষ তাদের বাড়িতে সমবেদনা জানাতে ছুটে আসছেন।

ছোট ভাই ইসলাম উদ্দিনের বরাত দিয়ে বোন সীমা আক্তার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমার তিন ভাই সৌদি আরবে ঠিকাদারি কাজ করে আসছিল। বুধবার কাজ শেষ করে জিহরা এলাকা থেকে মদিনায় ফেরার জন্য ওমরাহর যাত্রীবোঝাই একটি গাড়িতে চড়েন তারা। ৩৯ যাত্রী ছিল বাসটিতে। স্থানীয় সময় রাত ৭টার দিকে মদিনা থেকে প্রায় ১৭০ কিলোমিটার দূরে হিজরা রোডে একটি লোডারের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে বাসটিতে আগুন ধরে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ৩৫ যাত্রী মারা যান। তাদের মধ্যে আমার দুই ভাইও রয়েছেন।

সীমা আক্তার আরও বলেন, নিহত আব্দুল হালিমের তিন মাসের একটি ছেলেসন্তান রয়েছে ও দ্বীন ইসলামের ১৪ মাসের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।

উল্লেখ্য, বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার দিকে একটি গাড়ির সঙ্গে ওমরাহযাত্রী বহনকারী বাসটির ধাক্কা লাগলে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। মদিনার ১৭০ কিলোমিটার দূরে আল-আখাল গ্রামের হিজরা রোডে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে আরব নিউজ।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply