বাংলাদেশের জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের কর্মবিরতির কারণে আগামী মাসে ভারত সফর অনিশ্চয়তায় পড়েছে- এমনটাই মনে করছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এনডিটিভি “ক্রিকেটারদের বয়কটে সংশয়ে ভারত-বাংলাদেশ সিরিজ” শিরোনামে প্রতিবেদনে সাকিব আল হাসানকে উদ্ধৃত করে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে বলা লেখা হয়েছে, “ক্রিকেটের স্বার্থে ১১ দফা দাবি নিয়ে বয়কটের ডাক দিলেন ক্রিকেটাররা। দাবি যতদিন না পূরণ হবে ততদিন কেউই ক্রিকেটের কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন না। যার ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়ল বাংলাদেশের ভারত সফর। ৩ নভেম্বর থেকে ভারতের মাটিতে তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজ শুরু হওয়ার কথা। তার পর রয়েছে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজও।”
সাবিক আল হাসান উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ‘‘অনেক বছর ধরে আমরা সিনিয়র দলের জন্য একজন লেগ-স্পিনার বেছে নিতে পারিনি। আর হঠাৎ করে আমরা এমন পরিকল্পনা করছি যে বিপিএল-এ সাত জন লেগ-স্পিনার খেলবে। এটা আমার কাছে বড় চমক। তবে আমি বলব, বোর্ড যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তখন কিছু ভালর কথা ভেবেই নিয়েছে।”
সাকিবের ভাষ্য, ‘‘শুধু জাতীয় দল নিয়ে ভাবাটা আয়োজকদের মূল কাজ নয়। চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা ও সিলেটে সঠিক জিম, রানিং, ইন্ডোরের ব্যবস্থা হওয়া উচিৎ। মীরপুরের ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আপনি ১৫ মিনিটের বেশি ব্যাট করতে পারবেন না। কারণ সেখানে খুব গরম। ওরা ওখানে এসি লাগায়নি গত ১০ বছরে। এটা খুব হতাশাজনক। বিশেষ করে যখন আমরা দেখি অন্যান্য দেশে পরিষ্কার ও এসি রয়েছে। এমনক প্রথমশ্রেনীর ম্যাচ খেলে যে টাকা পাওয়া যায় সেটাও গ্রহনযোগ্য নয়।”
তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে জীবন চালাতে সেটা খুব কম। সেটা একদমই ঠিক নয়। সকলেরই সমান সুযোগ পাওয়া উচিৎ। একজন প্লেয়ারের সেটা পাওয়া উচিৎ সে যেটা পাওয়ার যোগ্য। কোনও দল যদি তাঁর চাহিদা অনুযায়ী টাকা না দিতে পারে তাহলে সেই প্লেয়ার সেটা বুঝবে। কিন্তু তাঁকে তাঁর মূল্য ঠিক করা থেকে আটকানোটা অনুচিৎ।”
Leave a reply