পিবিআই’কে ধন্যবাদ জানালেন প্রধানমন্ত্রী

|

ফেনীর সোনাগাজীর মাদরাসা শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিতের ব্যবস্থা করায় পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন-পিবিআইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তে পিবিআই’র ভূমিকায় পুলিশের আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারীর কাছে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। একইসাথে, পিবিআইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আস্থার পুনর্ব্যক্ত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালও। পিবিআই’র প্রধান বনজ কুমার মজুমদার স্বাক্ষরিত এক অবহিতকরণ পত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ফেনীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ ১৬ আসামিরই মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে, আসামিদের প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এই টাকা আদায় করে নুসরাতের পরিবারকে দেয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার, ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা অন্য আসামিরা হলেন- নূর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, সোনাগাজী পৌরসভার কাউন্সিলর মাকসুদ আলম, সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের, জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন জাবেদ, হাফেজ আবদুল কাদের, আবছার উদ্দিন, কামরুন নাহার মনি, উম্মে সুলতানা ওরফে পপি ওরফে তুহিন ওরফে শম্পা ওরফে চম্পা, আবদুর রহিম শরীফ, ইফতেখার উদ্দিন রানা, ইমরান হোসেন ওরফে মামুন, মোহাম্মদ শামীম, মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সহসভাপতি রুহুল আমীন ও মহিউদ্দিন শাকিল।

প্রসঙ্গত, সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী ছিলেন নুসরাত জাহান রাফি। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে তাকে যৌন হয়রানি করেন। এ ঘটনায় রাফির মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় মামলা দায়ের করলে অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে রাফির পরিবারকে হুমকি দেয়া হয়।

৬ এপ্রিল মাদ্রাসার প্রশাসনিক ভবনের ছাদে ডেকে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে হয়। ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। এ ঘটনায় নুসরাতের বড় ভাই বাদী হয়ে ৮ এপ্রিল সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply