সৌদি আরবের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষ্যে আগামী মঙ্গলবার রিয়াদ যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে ‘ফিউচার ইনভেস্টমেন্ট ইনিশিয়েটিভ’-এর মঞ্চে বক্তৃতা দেওয়া ছাড়া সৌদির বাদশা সালমান বিন আবদুলাজিজ আল সৌদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন তিনি।
দু’দেশের মধ্যে ‘স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ কাউন্সিল’ সংক্রান্ত একটি চুক্তিও হবে। ভারত ও সৌদির মধ্যে প্রতিরক্ষা সমঝোতা বাড়ানোর লক্ষ্যেও একটি চুক্তি সই হবে বলে জানানো হয়েছে।
মুসলিম গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির মধ্যে বাহরাইনের মতো সৌদি আরবও কাশ্মীর প্রশ্নে ভারতের পাশেই দাঁড়িয়েছে। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তীব্র ভারত-বিরোধিতা করে ভাষণ দিলেও সৌদি আরব এ বিষয়ে নীরব ছিল।
এ প্রসঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব টিএস তিরুমূর্তি বলেন, ‘‘কাশ্মীর নিয়ে সৌদি আরব যথেষ্ট বিবেচনা দেখিয়েছে। এর প্রত্যক্ষ প্রভাব পাকিস্তানের উপরেও পড়েছে।’’
ইরান থেকে তেল আমদানি নিয়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে টানাপড়েন চলছে। ভারতের বিপুল জ্বালানি চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে অদূর ভবিষ্যতে বড় ভূমিকা নিতে চলেছে সৌদি, এমনটাই জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দু’দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থার মধ্যে যৌথ উদ্যোগ নিয়েও চুক্তি চূড়ান্ত হবে।
জানা গিয়েছে, মোদির সফরে সৌদি অ্যারামকো সংস্থা ঘোষণা করতে পারে যে, ভারত পেট্রোলিয়ামের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে আগ্রহী তারা। একই সঙ্গে সৌদির আর একটি সংস্থা আল জেরি ভারতের কোনও সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে পেট্রল পাম্প খোলার কথাও ঘোষণা করতে পারে। তা ছাড়া, ভারতের ‘স্ট্র্যাটেজিক অয়েল রিজ়ার্ভ’ নিয়ে দু’দেশের চুক্তিও হতে পারে।
ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মুক্ত বাণিজ্য করার জন্য আগ্রহী সৌদি কিছুটা হলেও ভারতের মুখাপেক্ষী। তিরুমূর্তি বলেন, ‘‘ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সৌদির নৌ-সেনা আছে। প্রধানমন্ত্রীর সফরে এই অঞ্চলটিতে যৌথ ভাবে কাজ করার প্রশ্নে জোর দেওয়া হবে। দু’দেশের প্রতিরক্ষা চুক্তির এটি একটি বড় দিক।’’ আগামী ডিসেম্বরে প্রথমবারের মতো সৌদি-ভারত নৌ মহড়া হবে বলেও জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
Leave a reply