Site icon Jamuna Television

কুকুরের কাছেই হার মানেন আইএস নেতা বাগদাদি

যার অনুসারীদের নৃশংসতায় রক্ত ঝড়েছে বিশ্বের নানা প্রান্তে সেই আবু বকর আল বাগদাদি মৃত্যুর আগ মুহূর্তে হার মানেন একটি কুকুরের কাছে। সুড়ঙ্গে আইএস প্রধানকে আতঙ্কিত করে তোলে মার্কিন ডগ স্কোয়াডের কুকুর। এ দাবি পেন্টাগনের। তারা বলছে, সুড়ঙ্গের ভেতরে সেনাদের ঢোকারই প্রয়োজন পড়েনি। কুকুরের আতঙ্কেই আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটান এই জঙ্গি নেতা। এই কুকুরের ছবি প্রকাশ করে টুইট করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

গেলো দু’বছরে, ধাপে ধাপে আইএস’র দখলকৃত অঞ্চল পুনরুদ্ধার হলেও খোঁজ মিলছিল না এর প্রতিষ্ঠাতা আবু বকর আল বাগদাদির। অবশেষে, শনিবার, সিরিয়ার ইদলিবে গোপন অভিযানে সমাপ্তি ঘটলো বাগদাদি অধ্যায়ের।

ধীরে ধীরে অভিযানের বিস্তারিত তথ্য জানাচ্ছে, পেন্টাগন। বলা হচ্ছে, মিশনে বড় ভূমিকা রাখে ডগ স্কোয়াড। আত্মসমর্পণের প্রস্তাবে সাড়া না দিয়ে বাগদাদি সুড়ঙ্গে ঢুকে পড়লে, তার পেছনে ছেড়ে দেয়া হয় প্রশিক্ষিত কুকুর। হিংস্র এসব প্রাণিকে দেখে ভয় পেয়ে যান আইএস প্রধান। বিস্ফোরণ ঘটান সুইসাইড ভেস্টে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজে আহত কুকুরটির ছবি টুইট করেছেন।

মার্কিন সেনা কর্মকর্তা জেনারেল মার্ক এ মাইলি বলেন, সেনাবাহিনীর নিয়োগপ্রাপ্ত কুকুরটির ছবি প্রকাশ হলেও নাম গোপনই রাখছি। অভিযানে সে চমৎকার অবদান রেখেছে। আহত হলেও তবে ধীরে ধীরে সেরে উঠছে। শিগগিরই কাজেও যোগ দেবে।

হোয়াইট হাউজের সিচুয়েশন রুমে বসে পুরো অভিযান লাইভ দেখেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তার দাবি, জীবনের শেষ সময়ে উদভ্রান্তের মতো কাঁদছিলেন বাগদাদি।

ট্রাম্প বলেন, অসুস্থ, দুশ্চরিত্র বাগদাদির মৃত্যু হয়েছে তুচ্ছ কাপুরুষের মতো। বিন্দুমাত্র প্রতিরোধ ক্ষমতা ছিল না। তার শেষ সময়ের নাটকীয় ভিডিও আংশিক প্রকাশের চিন্তাভাবনা চলছে।

পেন্টাগন জানায়, অভিযানের আগে বাগদাদির একটি অন্তর্বাস চুরি করে এক মার্কিন গুপ্তচর। ডিএনএ পরীক্ষায় শতভাগ নিশ্চিত হওয়ার পরই শুরু হয় মিশন। আর মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর, বাগদাদির দেহ নিয়ে যায় মার্কিন সেনারা।

গণমাধ্যম বলছে, লাদেনের মতোই রণতরী থেকে গভীর সাগরে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে মরদেহ। এ বিষয়ে মার্কিন সেনা কর্মকর্তা মাইলির কথা, পরিচয় নিশ্চিতের পর বাগদাদির মরদেহের যথাযথ ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসবেরই ছবি, ভিডিও আছে। তবে এখনই সেগুলো প্রকাশের পরিকল্পনা নেই।

অভিযানে বাগদাদির বিস্ফোরণেই নিহত হন তার তিন সন্তান। জীবিত গ্রেফতার হয়েছে দু’জন। বাগদাদি হত্যা মিশনের নাম রাখা হয়েছে ২০১৫ সালে আইএস’র হাতে নিহত মার্কিন স্বেচ্ছাসেবক কায়লা মুয়েলারের নামে।

Exit mobile version