সাকিব আল হাসান আর জুয়াড়ি দিপক আগারওয়ালের হোয়াটসঅ্যাপ ম্যাসেজের খবর আইসিসি জানলো কীভাবে? দুই পক্ষের কেউ এটি ফাঁস করেছে নাকি এটি স্টিং অপারেশন? প্রমাণ পেয়ে সাকিবের শাস্তি হলেও কেনো ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যান আগারওয়ালদের মতো ফিক্সাররা? এমন অনেক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সাকিবের নিষেধাজ্ঞা ঘিরে।
ভদ্রলোকের খেলা বলে পরিচিত ক্রিকেটে অনেকবার কালিমা এঁকে দিয়েছেন এই জুয়াড়িরা। কখনো হ্যান্সি ক্রনিয়ে কখনো বা মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনের মতো গ্রেটরা জুয়াড়িদের থাবায় ছিটকে পড়েছেন ক্রিকেট থেকে। সবশেষ সংযোজন সাকিব আল হাসান।
সাকিবের সাথে কথিত আগারওয়ালের ম্যাসেজ আদান শুরু ২০১৭ সালের শেষের দিকে। এরপর আরো কয়েকবার হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ আদান প্রদান। যা আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটকে না জানিয়ে পরিষ্কার অপরাধ করেছেন সাকিব। শাস্তিও পেয়েছেন ১ বছর নিষিদ্ধ হয়ে।
বড় প্রশ্ন, সাকিব ও আগারওয়ালের মধ্যকার এই ম্যাসেজ আইসিসি কীভাবে পেলো? হোয়াটসঅ্যাপের
এনক্রিপটেড ম্যাসেজ অন্য কারো জানার কথা না। হয় সাকিব কিংবা দীপক আগারওয়াল যেকোনো একজনকে ফাঁস করতে হবে এই ম্যাসেজ। এমনও হতে পারে সাকিব ম্যাচ ফিক্সিংয়ে রাজি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে তথ্য ফাঁস করেছেন আগারওয়াল। কিংবা আগারওয়াল একটা রূপক ক্যারেক্টার। যিনি স্টিং অপারেশন চালিয়েছেন সাকিবের সাথে। প্রস্তাব দিয়ে ফাদে ফেলেছেন সাকিবকে!
চারদিকে কৌতূহল, কে এই দীপক আগারওয়াল?
ক্রিকেট বিশ্বে ফিক্সিংয়ের কথা শোনা গেলেই নাম আসে দীপক আগারওয়াল, অতনু কিংবা অনিল মুনায়ারের মতো কিছু নাম। ফিক্সিং নিয়ে বিখ্যাত বই ‘বুকি গ্যাম্বেল ফিক্সার স্পাই’-এ বলা হয়েছে ‘দীপক আগারওয়াল’ একটি ছদ্ম নাম। তিনি একজন ভারতীয়। থাকেন দুবাইতে।
কথা হচ্ছে ক্রিকেটাররা ধরা পড়েন, কিন্তু কেনো আগারওয়ালের মতো জুয়াড়িরা থেকে যান ধরাছোঁয়ার বাইরে?
জুয়াড়িদের কালো তালিকা আছে আইসিসির কাছে। এদেরকে নাকি ট্র্যাকও করা হয়। তাহলে কখনো আটক করা হয় না কেন? এই বিতর্ক আছে পুরো ক্রিকেট বিশ্বেই। এ নিয়ে কাতারভিত্তির টেলিভিশন আল জাজিরার এক অনুসন্ধানী রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছিল, ৬০ থেকে ৭০ ভাগ ম্যাচই নাকি পাতাতে পারেন এই জুয়াড়িরা!
অজানা কারণে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছেন ভারতীয় জুয়াড়িরা। অনিল মুনায়ারার কিংবা দীপক আগারওয়ালরা টিকে থাকেন সদর্পে, আর ভুল করে অন্ধকারে প্রবেশ করেন সাকিব আল হাসানরা। নিমেষেই হিরো থেকে হয়ে যান খলনায়ক!
Leave a reply