মহাগুরুত্বপূর্ণ ভারত সফরের আগে হঠাৎই টালামাটাল হয়ে পড়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট। ক্রিকেটারদের ধর্মঘটের বিষয়টি মীমাংসা হতে না হতেই বিনা মেঘে বজ্রপাত! জুয়াড়ির কাছ থেকে পাওয়া প্রস্তাব গোপন রাখায় নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েন সাকিব আল হাসান। কোনো এ সময়ে নিষেধাজ্ঞা? এ নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। জানা গেছে, সাকিবের চাওয়াতেই নাকি ভারত সফরের আগেই নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি সামনে এসেছে। বিসিবির পরিচালক ও ক্রিকেট অপারেসন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান তেমনটিই জানালেন।
যমুনা নিউজকে আকরাম খান বলেন, অনেকে ভাবছেন এ সময়ে কেনো এটি এলো। আসলে এটা এখন না হলে ভারত সফরের মাঝামাঝি সময়ে আসতে পারতো। সেটি গোটা দলের জন্য খারাপ হতো। সাকিবও তা চায়নি। তাছাড়া, আরও কিছুদিন দেরি হলে ২০২০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সে মিস করতো। এখন সে সম্ভাবনাটা টিকে আছে।
আকরাম খান বলেন, সাকিবের নিষেধাজ্ঞা কতদিন তার চেয়ে বড় বিষয় হলো একটি ম্যাচেও যদি সে মাঠে নামতে না পারে আমরা তাকে মিস করি। সাকিব আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
উল্লেখ্য, জুয়াড়ির কাছ থেকে পাওয়া প্রস্তাব গোপন রাখায় গত ২৯ অক্টোবর ২ বছরের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ পেয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন সাকিব আল হাসান। তবে, শর্তসাপেক্ষে তার ১ বছরের সাজা স্থগিত রেখেছে আইসিসি। সে হিসেবে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর মাঠে নামতে পারবেন তিনি। সে বছরের ১৮ অক্টোবর শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। প্রথম পর্বে ১৯, ২১ ও ২৩ অক্টোবর মাঠে নামবে টাইগাররা। সাজা না কমলে প্রথম পর্বে খেলতে পারবেন না সাকিব।
Leave a reply