শিশুর দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে ভিটামিন ‘এ’ জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে। ছোটবেলা থেকেই এ ধরনের খাবার খাওয়ানো জরুরি।
এ বিষয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়েছেন ভিশন আই হসপিটালে গ্লুকোমা অ্যান্ড রিফ্রাকটিভ সার্জারি বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত ডা. সিদ্দিকুর রহমান।
শিশুর দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে কী খাওয়াবেন?
সরকারিভাবে প্রতি বছর শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়।
ভিটামিন এ- এর অভাব জনিত অন্ধত্ব একটি আলাদা রোগ। ভিটামিন এ থাকে লিভারে। এ জন্য দেখবেন কর্ড লিভার ওয়েলের ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়।
যেসব খাবার খাওয়াবেন- ১. ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার হচ্ছে দুধ, ডিম, মাছ, মাংস ইত্যাদি। স্নেহ ও প্রোটিন জাতীয় খাবারের মধ্যে ভিটামিন এ বেশি থাকে।
২. দুধের সঙ্গে যষ্টিমধু মিশিয়ে খেলে ভালো ফল পাবেন। চা চামচের এক চামচ বা অর্ধেক চামচ যষ্টিমধুর গুঁড়া গরুর দুধে মিশিয়ে দিনে দুবার করে খেতে হবে।
২. দৃষ্টিশক্তি সতেজ রাখতে দেশী সবুজ শাক নিয়মিত খান। সবুজ শাককে চোখ সুরক্ষার প্রধান খাদ্য ঘোষণা করলেও বাড়িয়ে বলা হবে না। সবুজ শাক আমাদের চোখকে তীক্ষèতা বা ইউভি রশ্মির ক্ষতি হওয়া থেকে বাঁচায়। আমাদের খাওয়ার টেবিলে প্রতিদিন শাক রাখা আবশ্যকীয়।
৩. চোখের জন্য ছোট মাছ। ওমেগা-৩ এ ভরপুর ছোটমাছ যেমন- টুনা মাছ বা পুঁটি মাছ আমাদের রেটিনাসহ নার্ভ সেলগুলোকে শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখে।
৪. সারা বছরই পাওয়া যায় এমন দুইটি ফল হল- কমলালেবু এবং মাল্টা। ভিটামিন-সিতে পরিপূর্ণ এই ফল দুইটিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে অনেক। যা আমাদের কর্নিয়াকে সুরক্ষা করে এবং চোখে ছানি পড়া থেকে বাঁচায়।
৫. ডিম চোখের জন্য উপকারী। ভিটামিন এ-এর প্রায় সব রকমের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টই রাতকানা রোগ প্রতিরোধে সক্ষম। আর ডিমে এর সব অ্যান্টিঅক্সিডেন্টই কমবেশি থাকায় ডিমকেও ধরা যায় চোখের কার্যকারিতা বৃদ্ধির অন্যতম উপাদান হিসেবে।
৬. গাজরে থাকে বেটা-ক্যারোটিন। এটা ভিটামিন এ-এর একটি প্রধান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা রেটিনাকে খুবই ভালো রাখে ফলে আমাদের চোখে ছানি পড়ার দুর্ভাবনা থাকে না। গবেষকরা বলেন, আমাদের প্রতি সপ্তাহে অন্তত কয়েকবার গাজর খাওয়া উচিত।
Leave a reply