ষাঁড়ের দিকে তাকিয়ে গৃহস্থ। অপেক্ষার প্রহর গুনছেন তারা। কখন প্রাকৃতিক কর্ম সারবে ষাঁড়টি।
ভাবনায় আসতে পারে গোবর কী এতই মহামূল্যবান এই গৃহস্থের কাছে!
এর জবাবে জানা গেছে, অন্য কোনো গোবর নয়, ওই নির্দিষ্ট ষাঁড়ের গোবরের অপেক্ষায় চাতক পাখির ন্যায় চেয়ে আছেন গৃহস্থ।
শুধু তাই নয়, সেই ষাঁড় কখন গোবর উৎপাদন করবে, সে চিন্তায় রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে তাদের।
কী এমন বিষয় রয়েছে ওই ষাঁড়ের গোবরে!
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন জানিয়েছে, তৃণভোজী এই প্রাণীটি ঘাসপাতার সঙ্গে খেয়ে ফেলেছে ৪০ গ্রাম ওজনের সোনার গহনা।
যেহেতু সোনা হজম হয় না, তাই ষাঁড়ের উদরস্থ সোনার গহনা গোবরের সঙ্গে বেরিয়ে আসবে সেই আশায় নির্ঘুম রাত পার করেছেন এর মালিক।
এমন অদ্ভুত ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের সিরসার কালানাওয়ালিতে।
সেখানে জনকরাজ নামে এক ব্যক্তির ষাঁড় ঘাস-লতাপাতার সঙ্গে স্ত্রী ও পুত্রবধূর গহনা খেয়ে ফেলে।
দুর্ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে জনকরাজ বলেন, সকালে আমার স্ত্রী ও পুত্রবধূ একটি পাত্রে তাদের গহনা খুলে রেখে সবজি কাটছিলেন। মনের অলক্ষ্যে সবজির খোসার নিচে চাপা পড়ে যায় গহনাগুলো। পরে পাত্রটি ধরে ওই ষাঁড়কে খেতে দেন তারা। আর তখনই খোসার সঙ্গে সব গহনা খেয়ে নেয় ষাঁড়টি। বিষয়টি যখন মনে পড়ে তাদের, ততক্ষণে ষাঁড় সবজি খোসার সঙ্গে সব গহনা খেয়ে সাবাড় করে দিয়েছে।
গহনা বের করতে আর ষাঁড়টির কোনো ক্ষতি হবে কিনা সে পরামর্শ নিতে পশুচিকিৎসকের দারস্থ হন জনকরাজ।
চিকিৎসক ষাঁড়ের পেটের এক্স-রে করে দেখেন, সত্যি সত্যি এর পেটের ভেতরে গহনার উপস্থিতি রয়েছে।
তার পরামর্শ অনুযায়ী, ষাঁড়টিকে প্রচুর পরিমাণে খাবার দেয়া হচ্ছে যেন এটি মলত্যাগ করে। মলত্যাগও করছে ষাঁড়টি। তবে সেসব গোবরে সোনার গহনা মিলছে না।
গত মঙ্গলবার থেকেই গোবরের সঙ্গে গহনা বের হচ্ছে কিনা সে আশায় দিনরাত পার করছে জনকরাজের পরিবার। ষাঁড়ের প্রতিবারের মলত্যাগে গহনা না বেরোনোয় হতাশ হচ্ছেন তারা।
স্থানীয় পশুচিকিৎসক বলছেন, আপাতত ষাঁড়ের দিকে হাঁ করে তাকিয়ে বসে থাকা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। তবে জনকরাজ অচিরেই সফল হবেন। ষাঁড়টি কোনো একপর্যায়ে গহনাগুলো তার মলের সঙ্গে বের করবেই।
এদিকে সোনার গহনা খেয়ে ফেলা ষাঁড়কে দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন স্থানীয়রা।
Leave a reply