বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনাকে আরও সহজ ও উন্নত করতে ১০ দফা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো. আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় ২০১৯ সালের হজ ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
রোববার লন্ডনের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী ‘বিশ্ব হজ ও ওমরা সম্মেলন’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের দলনেতা হিসেবে বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
২০২০ সালে বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনা আরও সহজ করতে ১০ দফা পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী।
দফাগুলো হলো-
১. সৌদি সরকারের রুট টু মক্কা ইনিশিয়েটিভের আওতায় বাংলাদেশের শতভাগ হজযাত্রীর ইমিগ্রেশন বাংলাদেশে করানো।
২. হজযাত্রীদের লাগেজ ব্যবস্থাপনা আরও দ্রুত ও উন্নত করা।
৩.বাংলাদেশি হজযাত্রীর কোটা বাড়ানো।
৪. হজের ব্যয় কমানো।
৫. সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীর সংখ্যা বাড়ানো।
৬. হজ ও ওমরাহ আইন প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন।
৭. জেদ্দা ও মদিনা বিমানবন্দরে হজযাত্রীদের অপেক্ষার প্রহর কমানো।
৮. সব দেশের হাজিদের সুবিধার জন্য মিনার আয়তন বাড়াতে রাজকীয় সৌদি সরকারকে আনুষ্ঠানিক আহ্বান জানানো।
৯. মাশায়ের মোকাদ্দাসায় হাজিদের সুবিধা বাড়ানো এবং
১০. আল্লাহর মেহমান হাজিদের খাবার সরবরাহে সৌদি আরবের প্রাইভেট কোম্পানিগুলোর বাধ্যবাধকতা বন্ধ করা।
বিশ্ব হজ ও ওমরা সম্মেলনের সিইও মোহসিন তোতলা, নাইজেরিয়ার ন্যাশনাল হজ অ্যান্ড ওমরাহ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বশির, স্বাগতিক যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভারত, পাকিস্তানসহ ২৫টি দেশের প্রতিনিধি এ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
বিভিন্ন সরকারের হজ মিশনের প্রতিনিধি এবং হজ ও ওমরাহ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। সভায় বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা পূর্ববর্তী বছরের হজ ও ওমরাহ কার্যক্রম পরিচালনার অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন এবং অভিজ্ঞতার আলোকে ভবিষ্যৎ কার্যক্রম সম্পর্কে পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।
আট বছর ধরে অনুষ্ঠিত ‘বিশ্ব হজ ও ওমরা সম্মেলন’-এ হজযাত্রীদের হজ টার্মিনাল, টেলিযোগাযোগ সেবাসমূহ, খাবার ব্যবস্থাপনা, হোটেল, আবাসন, প্রযুক্তি, পরিবহন এবং সারা বিশ্বের হজযাত্রীদের কল্যাণ এবং উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এ উদ্যোগের ফলে সারা বিশ্বে লাখ লাখ হজযাত্রী উপকৃত হয়েছেন। সম্মেলন থেকে প্রাপ্ত সুপারিশসমূহ সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হজ ব্যবস্থানপার উন্নয়নে গ্রহণ করা হয়।
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী ও যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত কাউন্সিলর (রাজনৈতিক) দেওয়ান মাহমুদুল হক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
Leave a reply