পুরাতন শহর। ইতিহাস-ঐতিহ্যের দিক থেকেও এগিয়ে রংপুর। সিটি করপোরেশন হবার পর ধীরে ধীরে আরও পরিবর্তিত হয়েছে শহর। নাগরিক জীবনের চেহারাও দৃশ্যমান প্রতিটি পরতে পরতে। একনজরে জেনে নেয়া যাক রংপুর সিটির আদ্যোপান্ত।
- দেশের সর্ব উত্তরের সিটি করপোরেশন রংপুর। শীতের সময়ে শীত, গরমে প্রচণ্ড দাবদাহ। এখানকার মানুষও বেশ সহজ-সরল হিসেবেই পরিচিত।
- পৌরসভা হিসেবে রংপুরের যাত্রা শুরু ১৮৬৯ সালে। প্রথম চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন রংপুরের তৎকালীন কালেক্টর ই জি গ্লোজিয়ার। ১৯৮৬ সালে রংপুর পৌরসভা উন্নীত হয় প্রথম শ্রেণীতে। সেই থেকেই হাঁটি হাঁটি পা পা করে এগিয়ে যাচ্ছে শহরটি।
- ২০১২ সালের ২৮ জুন রংপুরকে সিটি করপোরেশন ঘোষণা করা হয়। শহরের আয়তন ২০৫ বর্গ কিলোমিটারের খানিকটা বেশি। নগরীর মোট ৩৩টি ওয়ার্ডে জনসংখ্যা প্রায় আট লাখ।
- সিটি করপোরেশনের প্রায় চার লাখ ভোটারের মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৯৬ হাজার আর নারী ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ৯৭ হাজার।
- সিটি করপোরেশন হবার পর প্রথম নির্বাচন হয় ২০১২ সালের ২০ ডিসেম্বর। এক লাখের বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের সমর্থন পাওয়া সরফুদ্দীন আহম্মেদ ঝন্টু।
- প্রায় ৭৭ হাজারেরও বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। জাতীয় পার্টির রাজনীতি করলেও সে দফা তিনি পাননি দলের সমর্থন। আর তৃতীয় স্থানে ছিলেন বিএনপি সমর্থিত কাওছার জামান বাবলা।
- রংপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় রয়েছে ১টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, ৪টি সরকারি, ২৫টি বেসরকারি কলেজ, ৫৪টি উচ্চ বিদ্যালয়, ২০২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। নগরীতে গড় শিক্ষার হার ৬৫%।
এছাড়া নগরীতে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের কার্যক্রমও দেশব্যাপী সুনাম ছড়িয়েছে রংপুরের।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply