বুলবুলের প্রভাবে কী হতে পারে সুন্দরবনে?

|

ভয়াল ঘূর্ণিঝড় আয়লার স্মৃতি উসকে দিচ্ছে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। তার গতিপথও অনেকটাই এক। অর্থাৎ এটি সজোরে আঘাত হানতে চলেছে সুন্দরবনে। বাংলাদেশের দিকে এগোনোর আগে তার ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে সুন্দরবনে।

আয়লা যে গতিতে সুন্দরবনে আছড়ে পড়েছিল, ঠিক তেমন গতিতেই আছড়ে পড়বে বুলবুল। ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে সুন্দরবনে। সমুদ্রে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের ফলে নদীবাঁধগুলি বিপর্যস্ত হতে পারে। সেই সঙ্গে কাদাধসও নামতে পারে বিভিন্ন জায়গায়।

প্রশাসনের তৎপরতায় সাগরদ্বীপ-সহ সমুদ্র তীরবর্তী জায়গাগুলি শুনশান এখন। বাংলাদেশের খুলনা অঞ্চলের জেলাগুলি এবং ভারতের উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের হাসনাবাদ, হিঙ্গলগঞ্জ, মিনাখাঁ, হাড়োয়া, হেমনগর এবং সন্দেশখালি মূলত উপকূলবর্তী এলাকাতেও প্রশাসন সতর্ক।

ঝড়-পরবর্তী পরিস্থিতি সামলাতে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে উভয় দেশেই। নদী এবং খাঁড়ি এলাকায় মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ভারতের ধামাখালি-সহ বিভিন্ন ফেরিঘাটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। আর বাংলাদেশের উপকূলে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ঘোষণা করা হয়েছে।

বাংলাদেশের উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে সরকারি দফতরে কর্মরতদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে কয়েকশত।

পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, সেচ, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিকদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ফ্লাড সেন্টারগুলিকে তৈরি রাখা হয়েছে। নদী তীরবর্তী মানুষদের সরিয়ে নিয়ে আসার জন্য পুলিশকে কাজে লাগানো হয়েছে। শুকনো খাবার, জ্বালানি, তেল, ত্রিপল যথেষ্ট পরিমাণে মজুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

শুক্রবার বিকেলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পি উলগানাথন বুলবুল মোকাবিলায় জরুরি বৈঠক ডাকেন। বৈঠকে জেলাশাসক অন্যান্য আধিকারিককে ঝড় মোকাবিলায় সব রকম পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে নির্দেশ দেন। গভীর সমুদ্র থেকে মৎস্যজীবীদের ফিরিয়ে আনা হয়েছে বন্দরে।

ঝড়ে ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে মৌসুনী, ঘোড়ামাড়া, নয়াচর প্রভৃতি দ্বীপে। এ ছাড়াও বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জের মতো জায়গায় চাষের জমি সমুদ্রের জলের তলায় চলে যেতে পারে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply