রোববার নাগপুরের বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে ভারতে বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে নামবে টাইগাররা। সাম্প্রতিক ইতিহাস বলে, দিল্লির মতোই বল কিছুটা টার্ন করে এখানকার উইকেটে। তাইতো দেড়শ রানকেই চ্যালেঞ্জিং স্কোর বলে মনে করছেন বাংলাদেশ কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। এই মাঠ টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিকদের জন্য খুব একটা সুখকর নয়, যেটা স্বস্তির খবর বাংলাদেশ শিবিরে।
নাগপুরের এই মাঠে ভারতের সর্বোচ্চ স্কোর ৯ উইকেটে ১৮৬। কিন্তু ২০০৯ সালের সেই ম্যাচে প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কার কাছে হারের লজ্জা পেয়েছিলো তারা। এই মাঠেই ২০১৬ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ৭৯ রানে অলআউট হবার তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে ভারতের। শুধু ঐ ম্যাচ নয় সাম্প্রতিক সময়ে এই মাঠে খুব বড় স্কোর হয়নি।
নাগপুরের মাঠ দেখে টাইগার কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর মনে হচ্ছে দেড়শো রানই হয়ে উঠতে পারে চ্যালেঞ্জিং স্কোর। বলেছেন, এই উইকেট অনেকটা দিল্লির মতো। বল কিছুটা টার্ন করবে। এটা আমাদের জন্য সুখবর। কেননা উইকেটের সাহায্য পেলে কার্যকর হয়ে ওঠে আমাদের বোলাররা। ১৫০ এখানে ভালো স্কোর।
নাগপুরেই জন্ম ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মার। নানার বাড়িও এখানে হওয়ায় বেড়ে ওঠা নাগপুরেই। সেই ভেন্যুতেই দুটি রেকর্ড হাতছানি দিচ্ছে তাকে। এক, টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে দশমবার ম্যাচ সেরা হওয়া; দুই, গেইল-আফ্রিদির পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চারশ’ ছক্কার মাইলফলক স্পর্শ করা।
সেই রোহিতও জানালেন নাগপুরের উইকেট দু’দিকেই হেলতে পারে। জানান, নাগপুরের উইকেট কিন্তু ব্যাটিং করার জন্য ভালো। তবে এটাও সত্য এখানে ভালো জায়গায় বল করলে বোলাররা সাহায্য পায়।
মাঠের দৈর্ঘ্য বিচারের ভারতের সবচেয় বড় মাঠ নাগপুরের এই বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়াম। তাইতো ছক্কার পরিবর্তে চারের সংখ্যা বাড়ানোর চিন্তা টাইগার শিবিরে।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে বাংলাদেশসহ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হচ্ছে। তবে আবহাওয়া পূর্বাভাস বলছে রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া থাকবে নাগপুরে।
ভারতের বিপক্ষে প্রথম ট্রফি জয় কি তবে নাগপুরেই হবে? এই মাঠের অতীত ইতিহাস ভারতের জন্য স্বস্তিকর না। ডোমিঙ্গোর কথায় মনে হচ্ছে বাংলাদেশ ভালো পরিকল্পনা নিয়েই মাঠে নামবে। সেটি কতটা কাজে কাজে অনূদিত করতে পারবেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহরা তার ওপরই নির্ভর করছে সবকিছু।
Leave a reply