ব্যবসায়ীক কাজে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে যেয়ে অপহরণকারীদের খপ্পড় থেকে মুক্তি পেতে ৫০ লাখ টাকা দিয়ে মুক্তি পেলেন এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ী। খবর ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি’র।
কলকাতা পুলিশ জানায়, বশির মিঞা নামে ওই ব্যবসায়ী পশ্চিমবঙ্গের এন্টালি থানায় এসে তাকে অপহরণ ও ৫০ লাখ টাকার বিনিময়ে মুক্তির বিষয়ে অভিযোগ করেন।
পুলিশ জানায়, বশির মিঞা অভিযোগ করেন যে তাকে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার হাবড়া এলাকার কোনও একটি অজ্ঞাত স্থানে তাঁকে জোর করে আটকে রেখে ৫০ লাখ টাকা মুুক্তিপণ দাবি করা হয়।
এনডিটিভি জানায়, বশির মিঞা গত সপ্তাহে নিজের স্ত্রীর জন্য কিছু গয়না কিনতে কলকাতায় এসেছিলেন এবং তিনি তাঁর সঙ্গে কিছু মার্কিন ডলারও এনেছিলেন। শনিবার শিয়ালদহ এলাকার একটি শপিংমলে তিনি ব্যবসায়িক কাজের সঙ্গে যুক্ত কিছু মানুষজনের সঙ্গে দেখা করেন। ওই শপিং মল থেকেই খাওয়া দাওয়া সেরে তিনি হাবড়া যাওয়ার জন্যে একটি ট্রেনে ওঠেন।
অভিযোগ হাবড়া নামার পরেই ওই ব্যবসায়ীকে কিছু দুষ্কৃতি হাত-পা চোখ বেঁধে কোনও অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে। “সেখান আটকে রেখে অপহরণকারীরা ব্যবসায়ীর বাবাকে বাংলাদেশ থেকে এদেশে টাকা নিয়ে আসতে ডেকে আনতে বাধ্য করে।
এসময় মুক্তিপর জন্য তাঁকে প্রায় ছয় লক্ষ টাকার নগদ জোগাড়ের কথা বলা হয়”, জানিয়েছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা।
বশির অভিযোগ করেন যে অপহরণকারীরা তাঁর কাছে থাকা ডলারও ছিনিয়ে নেয়, ভারতীয় টাকায় হিসাবে যার মূল্য ছিল প্রায় ৪৪ লক্ষ টাকা। এরপর তাঁরা বশিরকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পার করে দেওয়ার কথা বলে দুজন এজেন্টের হাতে তুলে দেয়। সীমান্তের কাছে এসে ওই ব্যবসায়ী বিএসএফকে সব জানিয়ে দেওয়ার হুমকি দিলে এজেন্টরা তাঁকে ফেলে পালায়।
অপহরণকারীদের থেকে মুক্তি পাওয়ার পর বশির মিঞা এন্টালি থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
এন্টালি থানার এক কর্মকর্তা বলেন, “আমরা এই ঘটনার বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছি এবং যে শপিংমলে তাঁরা খাবার খেয়েছিলেন সেখানের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখছি। আমরা তদন্তে সুবিধার জন্যে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছি।”
Leave a reply