পটুয়াখালী প্রতিনিধি
মাত্র দেড় কিলোমিটার সড়কে ১৪টি সাঁকো পারাপার করতে হয় শিক্ষার্থী, জেলেসহ স্থানীয়দের। তার উপর সড়কটিও খানাখন্দেও ভরপুর। দীর্ঘ ১ যুগ ধরে জনদুর্ভোগের শিকার পাঁচ গ্রামবাসী। এ অবস্থা পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার বানাতিপাড়া এলাকায়।
বানাতিপাড়া বেড়িবাঁধ থেকে রাবনাবাদ পাড়ের চারিপাড়া প্রাইমারি স্কুল পর্যন্ত সড়কটির দূরত্ব হবে মাত্র দেড় কিলোমিটার। ইট বিছানো এ সড়ক দিয়ে ওই এলাকার শত শত জেলে, কৃষক পরিবারের মানুষসহ তাঁদের সন্তানরা নির্বিঘ্নে চলাচল করত। মোটরসাইকেলসহ যানবাহন চলাচল করত। সিডর তাণ্ডবের পরে লালুয়া ইউনিয়নের চারিপাড়া পয়েন্টে বেড়িবাঁধ জলোচ্ছ্বাসে ভেঙে যায়। ভেঙ্গে যাওয়া বিভিন্ন পয়েন্টে স্থানীয়রা নিজেদের উদ্যোগে ১৪টি সাঁকো দেয়। মাত্র দেড় কিমি সড়কে এখন কাদামাটির পরও ১৪টি সাঁকো পার হতে হয় স্থানীয়দের।
ফোরকান প্যাদা জানান, ১৯৯৮ সালে এ সড়কটি ইট বিছিয়ে দেয় সরকার। এর পরে সিডরে বিধ্বস্ত হলে এক যুগে আর মেরামত করা হয়নি। দুর্ভোগের কারণে অধিকাংশ মানুষ চলাচল করে নৌকায়।
মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন জানান, এখন আমরা আশা ছেড়ে দিয়েছি। এটি আর সংস্কার কিংবা মেরামত কেউ করবে না।
উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান জানান, বর্তমানে ওই এলাকা পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ অধিগ্রহণ করেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধ না করলে পানিতে সব নষ্ট হয়ে যাবে, তাই এলজিইডি সড়কের কাজ করছে না বলে তিনি জানান।
Leave a reply