সাম্প্রতিক সময়ে ভীষণ সফল এক পেসার ভারতের মোহাম্মদ শামি। বিগত ইংল্যান্ড বিশ্বকাপেও দেখিয়েছিলেন তার বোলিং তাণ্ডব। সবশেষ ইন্দোর টেস্টে দুই দল মিলিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট তার দখলে। বাংলাদেশের ইনিংস ও ১৩০ রানের ব্যবধানে হারের পেছনে বড় অবদান শামির ৭ উইকেটের।
২০১৭ সালের নভেম্বর থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে শামির উইকেটসংখ্যা ৫১টি। টেস্টে অন্তত ১০ ইনিংস বিবেচনায় শামির স্ট্রাইক রেটও (৩৬.৭) সবচেয়ে ভালো। শামির এমন সাফল্যের পেছনে নাকি বিরিয়ানি!
ইন্দোরে বাংলাদেশকে হারানোর পর ভারতের তিন পেসার ইশান্ত শর্মা, উমেশ যাদব ও শামিকে একসাথে ডেকেছিলেন ধারাভাষ্যকার হর্শা ভোগলে। সেখানেই কথা প্রসঙ্গে শামিকে চেপে ধরেন ইশান্ত ও যাদব। তাদের জিজ্ঞাসা ছিল, আমরা ব্যাটসম্যানকে শুধু পরাস্তই করতে পারি। কিন্তু শামি ব্যাটসম্যানের প্যাডে লাগালে সে আউট হচ্ছে কিংবা পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দিচ্ছে, এর রহস্য কী?
শামি বিনয়ের সাথে বললেন, অধিনায়ক ও কোচের কাছ থেকে পুরো স্বাধীনতা পেয়েছি। আর ইশান্ত ও যাদব থাকলে কোনোরকম চাপ ছাড়াই ভালো জায়গায় বল ফেলে যাওয়া যায়।
কিন্তু ইশান্ত ও যাদব এ প্রশংসায় তুষ্ট নন। ইশান্তের বাউন্ডার, আমরা এক কথা বলছি আর তুমি বলছো অন্যকথা। তোমার মতো আমরাও একই জায়গায় বল ফেলি। কিন্তু আমাদের বল প্যাডে লাগলে তা স্টাম্পের বাইরে থাকে তোমারটা থাকে না। এটা কীভাবে সম্ভব?
হাসতে হাসতেই জবাব দিলেন শামি, লোকে বলে সব বিরিয়ানির ভেলকি!
একথা শুনে মন খারাপ হতে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের। গোটা পাকিস্তান দলের বিরিয়ানি-প্রীতির কথা কার না জানা? কিন্তু ফিটনেসের কথা চিন্তা করে মিসবাহ-উল হক পাকিস্তানের প্রধান কোচ ও নির্বাচক হওয়ার পর ড্রেসিং রুমে বিরিয়ানি নিষিদ্ধ করে দেন!
Leave a reply