গোলাপি বলে শুরুতে যেভাবে সুইং পাওয়ার কথা সেভাবে পাচ্ছেন না ভারতের পেসাররা। তবে বাড়তি গতি-কাটার পাচ্ছেন তারা। তাতেই কাটা পড়ছেন একের পর এক বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান।
২০ ওভার শেষে ৬ উইকেটে ৬৪ রান করেছে বাংলাদেশ। এরআগে সাদমান ইসলাম ২৯ রান ও ইমরুল কায়েস ৪ রান করেন। এরপর মোমিনুল হক, মোহাম্মদ মিথুন ও মুশফিকুর রহিম তিন জনেই শূন্য রানে আউট হয়ে সাজ ঘরে যায়। মাহমুদুল্লাহ ২১ বলে ৬ রান করে ক্যাচ আউট হয়ে যান।
এর আগে ঐতিহ্যবাহী ঘণ্টা বাজিয়ে খেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেন বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এসময় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) নয়া প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি ও টাইগার ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন উপস্থিত ছিলেন।
দুপুর দেড়টায় শুরু হয় খেলা। এ নিয়ে ইতিহাস গড়ে ভারত-বাংলাদেশ। দুই দলই নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দিবারাত্রির টেস্ট খেলতে মাঠে নামে। তবে শুরুটা ভালো করতে পারেননি টাইগাররা। সূচনালগ্নে ইশান্ত শর্মার এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন ইমরুল কায়েস। মোহাম্মদ মিঠুন উমেশ যাদবের বলে সোজা বোল্ড হয়ে সাজ ঘরে যায়। ব্যক্তিগত রানের খাতাও খুলতে পারেননি এ টপঅর্ডার।
ওয়ানডাউনে নেমে খেলা ধরতে পারেননি টেস্ট স্পেশালিস্ট মুমিনুল হক। উমেশ যাদবের বলে ব্যক্তিগত শূন্য রানে ফেরেন তিনি। খেলা শুরুর আগে ঐতিহ্যবাহী স্টেডিয়ামে ঐতিহাসিক ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক। টস হয় বিশেষভাবে তৈরি রূপার মুদ্রায়।
গোলাপি ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে আসে দুই পরিবর্তন। বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের জায়গায় ঢুকেন পেসার আল-আমিন হোসেন। আর ডানহাতি স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজের স্থানে অন্তর্ভুক্ত হন নাঈম হাসান।
তবে অপরিবর্তিত থাকে ভারত একাদশ। প্রথম টেস্ট হেরে দুই ম্যাচ সিরিজে ১-০তে পিছিয়ে টাইগাররা। দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে চমক দেখাতে চান তারা।
Leave a reply