পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
স্থানীয় সংসদ সদস্য ছাড়া সভাপতি হিসাবে বিকল্প কোন প্রার্থীর নাম প্রস্তাব না করায় পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন কমিটি ঘোষণা ছাড়াই শেষ হয়েছে। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের সাথে আলোচনা করে পরবর্তীতে কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে স্থানীয় নেতাকর্মী সমর্থকদের আশ্বস্ত করেছেন জেলার নেতৃবৃন্দ। এনিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ আর হতাশা বিরাজ করছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল ১০টায় উপজেলা অডিটরিয়ামে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন উদ্ভোধন শেষে প্রথম অধিবেশন সুন্দর সুশৃংখল এবং আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন উদ্ভোধক হিসাবে এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক ধর্মপ্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট শাহজাহান মিয়া প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের অন্যান্য সিনিয়র নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এরপর দুপুরে জুম্মার নামাজের বিরতি শেষে বিকাল ৩টায় দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয়। তখন অডিটরিয়ামের বাইরে নেতাকর্মী সমথর্করা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসাবে স্থানীয় এমপি শাহজাদা সাজুর পক্ষে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে। সরেজমিনে দেখা গেছে, দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হবার পর সভাপতি হিসাবে এককভাবে শাহজাদা সাজুর নাম প্রস্তাব করেন স্থানীয় এক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। তারপক্ষে অন্যান্য ভোটাররা সমর্থন দেয়। সেখানে সভাপতি হিসাবে বিকল্প কোন প্রার্থীর নাম না থাকায় জেলা নেতৃবৃন্দ কিছুটা বিপাকে পড়েন। কারণ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সম্প্রতি বলেছেন “উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে স্থানীয় সংসদ সদস্যরা যেন সভাপতি বা সেক্রেটারীর কোন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করেন”। তখন বিষয়টি নিয়ে জেলা নেতৃবৃন্দ কোন সিদ্বান্ত দিতে পারেননি। পরে সাধারণ সম্পাদক হিসাবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক, বর্তমানসহ মোট ৫জন প্রার্থীর নামের পক্ষে প্রস্তাব ও সমর্থন করেন ভোটাররা। এক পর্যায়ে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে জেলা নেতৃবৃন্দ অডিটরিয়াম ছেড়ে কিছুদূরে জেলা পরিষদ ডাকবাংলোয় অবস্থান নিয়ে বৈঠকে বসেন। প্রায় ঘণ্টাখানেক সেখানে অবস্থান করার পর কোন ধরনের নাম প্রকাশ না করেই জেলায় চলে যান জেলার নেতৃবৃন্দরা।
এব্যপারে বিশেষ অতিথি হিসাবে সম্মেলনে উপস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী আলমগীর হোসেন যমুনা নিউজকে জানান, কমিটি ঘোষণা দেয়া সম্ভব হয়নি কেন্দ্রের সাথে আলাপ করে পরে কমিটি ঘোষণা করা হবে। আর স্থানীয় এমপি শাহজাদা সাজু জানান, সম্মেলনে আমি প্রার্থী ছিলামনা এমনকি কখনও আমি সভাপতি প্রার্থী হতে চাই এমন কথাও কাউকে বলিনাই। কিন্তু আজকে দ্বিতীয় অধিবেশনে ভোটাররা সভাপতি প্রার্থী হিসাবে একক ভাবে আমার নাম প্রস্তাব আর সমর্থন করায় আমি না বলতে পারিনাই। তারপরেও যেহেতু কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের একটি সিদ্বান্তের বিষয় রয়ে যায় তাই তাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে জেলার নেতৃবৃন্দকে কমিটি ঘোষণা দিতে নিষেধ করেছি। তাদেরকেও সম্মান দেখিয়ে বলিছি আপনারা কেন্দ্রের সাথে আলাপ আলোচনা করে পরে কমিটি ঘোষণা করেন।
Leave a reply