যুবলীগের সম্মেলনের নামে চাঁদা চাইতে গিয়ে ঢাকায় গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন সাবেক এক ইউপি মেম্বার।
শুক্রবার নবীনবাগ বালুর মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গণধোলাইয়ের শিকার ওই ব্যক্তির নাম হাবিবুর রহমান সোহাগ। তিনি রাজধানীর খিলগাঁও থানাধীন দক্ষিণগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সোহাগ নিজেকে যুবলীগ নেতা পরিচয় দেন। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য চালিয়ে আসছেন তিনি। ইউপি মেম্বার থাকা অবস্থায় অনেক লোকের জমি দখল করেছেন।
সম্প্রতি নবীনগর বালুর মাঠ এলাকার জমি দখলে নেয়ার পাঁয়তারা শুরু করেন সোহাগ। ওই জমিতে শ্রমিকরা কাজ করতে গেলে লোকজন নিয়ে বাধাও দেন।
এ বিষয়ে ৩ নভেম্বর খিলগাঁও থানায় সাধারণ ডায়রি করেন জমি মালিকের ছেলে খালেদুর রহমান শাকিল।
জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, তার বাবার কেনা জমিটি রক্ষণাবেক্ষণে গেলে হাবিবুর রহমান সোহাগ যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে প্রথমে জমিটি তার কাছে কম মূল্যে বিক্রির প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে সাড়া না পেয়ে পরবর্তীতে দখলের প্রক্রিয়া শুরু করে এবং নানাভাবে তাদের কাজে বাধা দেন।
এরপর শুক্রবার সকালে কয়েকজন শ্রমিক ওই জমিতে কাজ করতে গেলে সোহাগ ও তার লোকজন গিয়ে কাজ বন্ধ করতে বলে।
এ সময় প্রকাশ্যে তিনি বলেন, ‘কাল যুবলীগের সম্মেলন। ৫ লাখ টাকা চাঁদা না দিলে এই জমিতে কোনো কাজ করতে দেয়া হবে না।’
এসময় স্থানীয়রা তার চাঁদা দাবির প্রতিবাদ জানালে তাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে সোহাগের লোকেরা কয়েকজনকে মারধর করলে স্থানীয়রা একত্রিত হয়ে সোহাগসহ কয়েকজনকে গণধোলাই দেয়।
এলাকাবাসীর তোপের মুখে সহযোগিরা পালিয়ে গেলেও কিছুটা আহত হয় হাবিবুর রহমান সোহাগ। পরে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
খিলগাঁও থানার ওসি মশিউর রহমান জানান, বিষয়টি তার গোচরে এসেছে। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a reply